নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী বছর থেকে কর্পোরেট রিটার্ন অনলাইনে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। রোববার আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে রিটার্ন সিস্টেমের সমস্যা চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় এনবিআরের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের অনলাইনে রিটার্ন না দেওয়ার কোনো উপায় নেই। আমাদের পুরোপুরি অনলাইনে রিটার্ন দিতেই হবে। অনলাইন রিটার্ন জমায় সময় ও অর্থ বাঁচে। আর টেনশন একদমই না। কারণ ক্যালকুলেশন তো, কোনটা ট্যাক্সেবল, কোনটার কত কর হার কিছুই জানা দরকার নেই। আপনি তথ্যগুলো দেবেন, সিস্টেম ক্যালকুলেশন করে দেবে।
অনলাইন রিটার্ন আরও সহজ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বছরের ১ জুলাই থেকে অনলাইন রিটার্ন সহজলভ্য হবে। এ বছর যারা রিটার্ন দিয়েছেন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে। এটা অনেক লম্বা সময় ধরে আমাদের আর্কাইভে থাকবে। আমরা অ্যাপ তৈরি করবো। আগামী বছর থেকে কর্পোরেট রিটার্নও অনলাইনে দিতে হবে।
তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় রিটার্ন ৫ গুণ বেড়েছে। ১৫ লাখের কাছাকাছি রিটার্ন আমরা পেয়ে গেছি। আগামী বছর এটাকে শতভাগ বাধ্যতামূলক করতে চাই।
অনলাইন রিটার্নের সুবিধা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনি কেবল তথ্য দেবেন। ক্যালকুলেশনের সিস্টেম আছে। যদি কোনো ভুল ত্রুটি হয় তার দায়িত্ব ডিপার্টমেন্টের। আপনার কোনো দায় নেই। কিন্তু আপনি যখন ম্যানুয়ালি করেন এতে যখন ভুল ত্রুটি হয় তখন পুরো দায় আপনার উপর চলে আসে।
তিনি বলেন, অনেকেই অডিটের নামে ডাকাডাকি করে। অডিটের সিলেকশন আপনাদের বিবেচনায় সঠিক হয় না। একজন করদাতা প্রতিবছর ডাক পায়। আরেকজন করদাতাকে কখনোই ডাকা হয় না। এইরকম হওয়ার কথা না। যদি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দেন তাহলে প্রয়োজনীয় তথ্য আমাদের কাছে থাকবে। আমাদের পক্ষে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ব্যবহার করে অটোমেটেড পদ্ধতিতে ফাইল সিলেকশন করা যাবে। তখন আপনাকে পছন্দ করে না বলে বারবার ডাকবে, এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।
আগামীতে আমাদের সব কাজ ডিজিটালাইজ হবে। সেই আঙ্গিকে আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। যতই সময় লাগুক এনবিআরের প্রতিটি কাজকে ডিজিটালাইজ করা হবে।