রয়টার্স: জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) শুক্রবার বাংলাদেশের কার্যক্রমের জন্য জরুরি তহবিলের আহ্বান জানিয়ে সতর্ক করে দিয়েছে যে, তহবিলের ঘাটতি বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী আশ্রয়স্থলে রোহিঙ্গাদের জন্য রেশন সীমিত করবে। এর আগে রয়টার্স বুধবার জানায় যে, তহবিল নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হওয়ার পর এপ্রিল মাসে জাতিসংঘকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য রেশন ১২.৫০ ডলার থেকে কমিয়ে ৬ ডলার করতে হবে।
ট্রাম্প প্রশাসনের বিশ্বব্যাপী মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে এই হ্রাস করা হয়েছে কিনা তা ডব্লিউএফপি স্পষ্ট করে না বললেও, একজন কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেছেন যে, সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গা সংকটে শীর্ষ দাতা ছিল।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশে কান্ট্রি ডিরেক্টর ডম স্কাল্পেলি এক বিবৃতিতে বলেছেন, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা তাদের বেঁচে থাকার জন্য সম্পূর্ণরূপে মানবিক সহায়তার উপর নির্ভরশীল। খাদ্য সহায়তায় যেকোনো হ্রাস তাদের আরও ক্ষুধার মধ্যে ঠেলে দেবে এবং বেঁচে থাকার জন্য মরিয়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করবে। ডব্লিউএফপি জানিয়েছে যে সম্ভাব্য রেশন কাটছাঁট সম্পর্কে তারা ইতিমধ্যেই রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ শুরু করেছে।
বাংলাদেশ প্রতিবেশী মিয়ানমারে ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে সহিংস নির্যাতিত মুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলার জনাকীর্ণ শিবিরে আশ্রয় দিচ্ছে, যেখানে তাদের চাকরির সুযোগ বা শিক্ষার সুযোগ সীমিত।
রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারের রাখাইনে ক্রমবর্ধমান ক্ষুধার কারণে গত বছর বাংলাদেশে আসা ৭০,০০০ রোহিঙ্গার বেশিরভাগই দেশত্যাগ করেছেন। মার্চ মাসে তহবিল কাটা পবিত্র রমজান মাসে শুরু হয় এবং ডব্লিউএফপি’র ধারণা যে এপ্রিল মাসে পূর্ণ রেশন সরবরাহের জন্য ১৫ মিলিয়ন ডলারের প্রয়োজন হবে।