বাজারে ডলারের প্রবাহ বাড়ায় ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তদারকি জোরদার করার কারণে এর ক্রয় ও বিক্রয় মূল্যের ব্যবধান কমে এসেছে। আগে এ খাতে ব্যবধান ছিল ২ টাকার বেশি। এখন তা এক টাকার নিচে নেমেছে।
ব্যাংকগুলো গড়ে প্রতি ডলার বিক্রি করছে ১২২ টাকা করে। কিনছে ১২১ টাকা করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২১ টাকার মধ্যে কিনে ১২২ টাকার চেয়ে কম দামে বিক্রি করছে।
আগে ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার কিনতে ১১৯ থেকে ১২০ টাকা করে। ওইসব ডলার বিক্রি করত ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকা করে। এতে বিশেষ করে রপ্তানিকারক, প্রবাসী ও আমদানিকারকরা ক্ষতিগ্রস্ত হতো।
কারণ রফতানিকারকরা ও প্রবাসীরা ডলার এনে দাম কম পেত। আবার আমদানি করতে উদ্যোক্তারা বেশি দামে ডলার কিনত। ফলে আমদানির পণ্যের মূল্য বেশি পড়ত।
বিশেষ করে রপ্তানিকারকদের বেশি ক্ষতি হতো, কারণ তারা কম দামে রপ্তানি আয়ের ডলার বিক্রি করে বেশি দামে কাঁচামাল আমদানির জন্য ডলার কিনতে হতো। এতে প্রতি ডলারে তাদের ২ টাকার মতো বেশি দিতে হতো।
সম্প্রতি বাজারে ডলারের প্রবাহ বেড়েছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় ও আমদানির আড়ালে টাকা পাচার করায় বাজারে এর জোগান বেড়েছে। এতে দাম কমেছে।
তবে ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার এখনও বেশি দামে বেশি বিক্রি হচ্ছে। ৩৪টি ব্যাংক নগদ ডলার বিক্রি করছে ১২৩ টাকা করে। কৃষি ব্যাংক বিক্রি করছে ১২৪ টাকা করে। অন্য ব্যাংকগুলো ১২২ টাকা থেকে এর বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। খোলা বাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২৪ থেকে ১২৫ টাকা করে।