শিরোনাম
◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, আফগানিস্তানকে ১০৭ রানে হারালো দক্ষিণ আফ্রিকা ◈ স্ত্রীর সামনে ফিল্মি স্টাইলে যুবদল কর্মীকে কু.পিয়ে হত্যা ◈ সৌদি আরবে কর্মী পাঠানোয় রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ে পতন কেন? ◈ কুয়েট উপাচার্যের বাসভবনে তালা দিলেন শিক্ষার্থীরা ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি শায়খ আহমাদুল্লার খোলা চিঠি ◈ খিলগাঁওয়ে স মিলে আগুন, দুই ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে (ভিডিও) ◈ বাংলাদেশ যেন সন্ত্রাসবাদকে স্বাভাবিক বিষয় হিসেবে না দেখে: ভারত ◈ ১৮’র ভোটের এসপিদেরও ওএসডি-বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হবে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ◈ মধ্যরাতে ব্যাংকের ভেতরেই অবস্থান কর্মকর্তার, যা জানা গেল ◈ ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে দেশে ফিরেছেন ৫ বাংলাদেশি

প্রকাশিত : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১১:২৭ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এস আলমের ব্যাংক হিসাবে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেন: এনবিআরের তদন্তে নতুন তথ্য

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. সাইফুল আলম (এস আলম) ও তার পরিবারের ব্যাংক লেনদেন নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) অভাবনীয় এক তথ্য পেয়েছে। সংস্থাটির মহাপরিচালক আহসান হাবিব জানিয়েছেন, এস আলমের বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে ২ লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকার লেনদেনের রেকর্ড পাওয়া গেছে, যা বিশ্লেষণ করতে কয়েকজন কর্মকর্তার এক মাসেরও বেশি সময় লেগেছে।

আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আয়োজিত এক কর্মশালায় তিনি বলেন, ‘এই বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন বিশ্লেষণে ১০টি কম্পিউটারে সাতজন কর্মকর্তা কাজ করেও এক মাসে হিসাব শেষ করতে পারেননি।’

ব্যাংক কর্মকর্তাদের ও কর কর্মকর্মতাদের নিয়ে আয়কর গোয়েন্দার আয়োজিত ‘কর ফাঁকি ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি’র লক্ষ্যে এই কর্মশালা হয়।

আহসান হাবিব আরও বলেন, ‘৩০ জুন পর্যন্ত পাঁচ বছর ধরে এস আলমের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৩৬ হাজার কোটি টাকা স্থিতি ছিল, যার বিপরীতে সুদ এসেছে ৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। তবে এর বেশিরভাগই কর হিসাবের বাইরে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।’

এছাড়া এস আলমের দুই ছেলে জালিয়াতির মাধ্যমে ৫০০ কোটি টাকা ‘সাদা’ করেছেন বলে জানান সিআইসির মহাপরিচালক। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরও একটি ব্যাংকের মাধ্যমে কৃত্রিম তারিখ দেখিয়ে অর্থ বৈধ করা হয়। অথচ ব্যাংক থেকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি আমাদের।’

ব্যাংক কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে উল্লেখ করে তিনি জানান, ‘শুধু আজই একটি কার্যরত ব্যাংকের চেয়ারম্যানের ১২১ কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে।’

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত দুর্নীতির তথ্য প্রকাশের প্রত্যয় ব্যক্ত করে সিআইসির ডিজি বলেন, ‘আমার কাছে বহু ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ নথি রয়েছে, যেখানে অসংখ্য অনিয়মের তথ্য সংরক্ষিত আছে। এখন সময় এসেছে এসব তথ্য প্রকাশের।’

অনুষ্ঠানে বৃহৎ করদাতা ইউনিটের (এলটিইউ) কমিশনার খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘অনেক করদাতার ব্যাংক হিসাব পর্যালোচনায় দেখা গেছে, প্রতিদিন বিপুল অঙ্কের অর্থ উত্তোলন করা হচ্ছে, কিন্তু সেই অর্থের গন্তব্য সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ব্যাংক কর্মকর্তারাও কোনো সুস্পষ্ট উত্তর দিতে পারেন না।’

এদিকে ব্যাংক খাতে অনিয়মের বিষয়ে কঠোর অবস্থানের ইঙ্গিত দিয়ে অনুষ্ঠানে এনবিআর চেয়ারম্যান ম. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘ব্যাংক কর্মকর্তারা কর কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতা না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি জানান, আর্থিক খাতের নজরদারি বাড়াতে তথ্য আদান-প্রদান ব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয় করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে, যাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর ব্যবহার করেই সব লেনদেন পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব হয়। উৎস: আজকের পত্রিকা।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়