শিরোনাম
◈ ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণ ◈ আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ◈ উত্তরায় নিজ ফ্ল্যাটে চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার(ভিডিও) ◈ সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনকে ঘোলাটে করার চেষ্টা করবেন না : আমির খসরু মাহমুদ  ◈ পরাজয় দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু বাংলাদেশের, শুভ সূচনা ভারতের ◈ হাসিনার বাংলাদেশে ফেরতকে অবিশ্বাস্যভাবে জটিল ও সংবেদনশীল করবে ভারত ◈ উনি অনেক চিৎকার করছিলো, জোরে জোরে কাঁদতেছিলো: বাসে ডাকাতি ও 'ধর্ষণ' বিষয়ে যা বললেন যাত্রীরা ◈ জাকের-হৃদয়ের পার্টনারশীপ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নতুন ইতিহাস ◈ দুই সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাল সরকার ◈ আগামী ১৯ মার্চ থেকে আসছে নতুন নোট, বিভ্রান্তি এড়াতে বিজ্ঞপ্তি

প্রকাশিত : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১০:৩৯ রাত
আপডেট : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : মনজুর এ আজিজ

‘বিইআরসির অনুমোদন ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে না’ 

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) অনুমোদন ছাড়া বিদ্যুৎকেন্দ্র করা যাবে না। আইনী এমন বাধ্যবাধকতার কথা বিদ্যুৎ বিভাগকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিইআরসির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিইআরসি কনফারেন্স রুমে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশের (এফইআরবি) সদস্যদের জন্য আয়োজিত কর্মশালায় এ মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় কমিশনের সদস্য সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, মো. মিজানুর রহমান, মো. আব্দুর রাজ্জাক ও শাহিদ সারোয়ার উপস্থিত ছিলেন।

বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, রেগুলেটরি কমিশন এখন প্রোঅ্যাকটিভ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। আশা করছি আমাদের কাজের মধ্য দিয়েই প্রমাণিত হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কমিশন এতদিন শুধু বিদ্যুতের পাইকারি ও খুচরা ট্যারিফ ঘোষণা দিয়ে এসেছে। কিন্তু আইনে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে চুক্তি অনুমোদনের এখতিয়ার বিইআরসিকে দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প গ্রহণের আগে বিইআরসিতে অনুমোদন নেওয়ার জন্য বলেছি। বিগত কমিশনগুলো কেন এটি করেনি তা তারা ভালো বলতে পারবে। তাছাড়া আইনের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থাও বড় বিষয়।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে প্রচুর প্রকল্প চলে আসছে যেগুলো বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)-এর সঙ্গে কোন পরামর্শ ছাড়া বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এগুলোর ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড। আইন অনুযায়ী এসব প্রকল্প বাস্তবায়নকারীদের বিইআরসির সঙ্গে পরামর্শ করার কথা। যেকোন কারণে বিইআরসি এই দায়িত্ব পালন করতে পারেনি বা সুযোগ আসেনি। কিন্তু এখন থেকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির প্রকল্প বাস্তবায়নে বিইআরসির অনুমোদন বাধ্যতামূলক।

নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব কতটা ন্যায়সঙ্গত হয়েছে? শিল্পে গ্যাসের বৈষম্যমূলক দর কেন আমলে নেওয়া হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, আমরা সকলের মতামত শুনতে চাই, তাই শুনানি করা হবে। সেখানে সকল পক্ষের মতামত নিয়ে তারপরই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে।

অতীতে দেখা গেছে, ভোক্তারা আপত্তি করলেও মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে অন্যরকম সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যেহেতু এই খাতগুলোতে ভর্তুকি বিদ্যমান, তাই সরকার কতটা ভর্তুকি দেবে সেটা ট্যারিফে বিবেচনায় নিতে হয়। সে কারণে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি যুক্ত।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিইআরসির চেয়ারম্যান বলেন, এখন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন আর কোনো পণ্যের দাম নির্ধারণ করে না। আগে তারা জেট ফুয়েলসহ কয়েকটি পণ্যের দাম ঘোষণা করতো। এখন জেট ফুয়েলের দাম বিইআরসি চূড়ান্ত করবে। নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে পেট্রোল, অকটেন, ডিজেল ও কেরোসিন হচ্ছে। প্রবিধানমালা অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। আশা করছি শিগগিরই এগুলোর দামও বিইআরসি নির্ধারণ করবে।

বিইআরসির পরিচালক (গ্যাস) দিদারুল আলম বলেন, ২০০৩ সালে আইনের মাধ্যমে বিইআরসি গঠিত হলেও আনুষ্ঠানিক যাত্রা করে ২০০৮ সালে। ২০০৮ সালে প্রথম বিদ্যুতের দর সমন্বয় করে, এরপর থেকে ৯ দফায় পাইকারি, ১০ দফায় খুচরা পর্যায়ে এবং ২ দফায় সঞ্চালন খরচ সমন্বয় করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০০৯ সালে প্রথম গ্যাসের দামের আদেশ দেওয়া হয়। এ যাবৎ ৯ দফায় গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে নতুন শিল্পে গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।

বিইআরসির আরেকটি কাজ হচ্ছে বিরোধ নিস্পত্তি করা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রাপ্ত ৬৭৭টি অভিযোগের মধ্যে ৫৪৪টি সমাধান দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ৮০ শতাংশ বিরোধ নিস্পত্তি করা হয়েছে। অন্যদিকে ভোক্তার পক্ষ থেকে ২৩৯টি অভিযোগের মধ্যে ২৩২টি (৯৭.০৭ শতাংশ) নিস্পত্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়