শিরোনাম
◈ মাঠের রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়, অনলাইনেই সংগঠিত হতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ ◈ রাশিয়ায় কাজের প্রলোভনে নিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানো হচ্ছে বাংলাদেশিদের (ভিডিও) ◈ মেঘনা নদীর নৌ সীমানায় ডাকাতদলের গোলাগুলি, নিহত ২ ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের আসন্ন দিনগুলোয় চ্যালেঞ্জ আরো বাড়বে ◈ আবারও বাড়লো ডলারের দাম ◈ বাংলাদেশসহ তিন দেশে উন্নয়ন সহায়তা বন্ধ করতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড ◈ ওসিকে পেটানোর হুমকি, সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার ◈ বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মুসলিম দেশ কোনটি? জেনে নিন এমন ১০টি দেশ সম্পর্কে ◈ দেখা গেছে শাবান মাসের চাঁদ, আরব আমিরাতে রোজা হবে ৩০টি ◈ ‘যে ৪ শর্তে ফিরতে পারবে আ.লীগ’

প্রকাশিত : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:৩২ রাত
আপডেট : ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আবারও বাড়লো ডলারের দাম

আমদানি পরিশোধের চাপে অস্থিতিশীল হচ্ছে ডলারের বাজার। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে এ ডলারের দাম অন্তত ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়। এর মধ্যে মঙ্গলবার ২০ বেসিস পয়েন্ট বেড়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়িতে প্রায় তিন সপ্তাহ স্থিতিশীল থাকার পর ব্যাংকগুলোতে ওভারডিউ পরিশোধের চাপ বাড়তে থাকায় রেমিট্যান্স ডলারের বাজার আবার বাড়তে শুরু করেছে বলে অনেকেই মনে করেছেন। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে ব্যাংকগুলো ডলারের দাম এখনো ১২২ টাকা দেখাচ্ছে।

এর আগে গত ডিসেম্বরের শেষদিকে মৌখিক নির্দেশনায় ব্যাংকগুলোর জন্য রেমিট্যান্স ডলার কেনাবেচার সর্বোচ্চ দর ১২২ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি ডলার কেনাবেচার মধ্যে সর্বোচ্চ ব্যবধান এক টাকার বেশি হওয়া যাবে না বলে নির্দেশনা দেয়া হয়। নিয়ম অমান্যকারীদের জরিমানাসহ শাস্তির আওতায় আনার কথাও বলা হয়।

বেসরকারি ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা মেনে রেমিট্যান্স ডলারের দর ১২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১২২ টাকার মধ্যে ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমদানি পরিশোধের চাপও (ওভারডিউ পেমেন্ট) বাড়ছে। বাড়তি চাপ থাকায় এখন ডলার সংগ্রহের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। এতে অনেক ব্যাংকই রেমিট্যান্স ডলারের দাম বাড়িয়ে কিনছেন।

গত সোমবার (২৭শে জানুয়ারি) এক সভায় আমদানি ও ব্যাক-টু-ব্যাক এলসি’র সব ওভারডিউ পেমেন্ট দ্রুত পরিশোধের নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। অথরাইজড ডিলারস ফোরামের সভায় দেয়া এ নির্দেশনা ডলারের চাহিদা আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপরই হঠাৎ রেমিট্যান্স ডলারের চাহিদা বেড়ে যায়। পরে ডলারের দাম অন্তত ৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এখন দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকা ৫০ পয়সায়।

সদ্যবিদায়ী বছরের ডিসেম্বরে ডলারের দর ১২৮ টাকায় উঠে যায়। পরে বাংলাদেশ ব্যাংক ১৩টি ব্যাংককে অতিরিক্ত দামে ডলার কেনার বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করে। ব্যাংকগুলোর ট্রেজারি প্রধানদের ১২৩ টাকার ওপরে রেমিট্যান্স ডলার না কেনার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ডিসেম্বরের শেষদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে এক সভায় ‘রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে’ সব ব্যাংককে ডলারের একই দর দেয়ার নির্দেশ দেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।

পাশাপাশি ছোট মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য নিয়ম শিথিল করা হয়। আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে এসব (ছোট মানি এক্সচেঞ্জ) প্রতিষ্ঠান ১০ হাজার ডলার সিকিউরিটি ডিপোজিট এবং নন-রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি (এনআরএফসি) অ্যাকাউন্টে ন্যূনতম ব্যালেন্স রাখার বাধ্যবাধকতা ছাড়াই সরাসরি ব্যাংকগুলোর কাছে রেমিট্যান্স ডলার বিক্রি করতে পারবে বলে জানানো হয়।

একটি মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার পর ডলারের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল ছিল। তবে গত কয়েক সপ্তাহে তা আবার অস্থির হতে শুরু করেছে। তিনি বলেন, আমাদের কাছ থেকে ব্যাংকগুলোর ডলার কেনার আগ্রহ অনেক বেড়েছে। বিশেষ করে রাষ্ট্রায়ত্ত কিছু ব্যাংক বেশি দামে রেমিট্যান্স ডলার কিনতে আগ্রাসীভাবে প্রতিযোগিতা করছে। 

অন্যদিকে প্রতিদিনই সরকারি এলসি পরিশোধ করতে হচ্ছে। সমপ্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক ওভারডিউ পেমেন্ট পরিশোধের চাপ আরও বাড়িয়েছে। ফলে বাধ্য হয়েই ব্যাংকগুলো কিছুটা বেশি দামে রেমিট্যান্স ডলার কিনছে, যাতে এসব শর্ত পূরণ করা যায়।

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, আমরা ১২২ টাকা রেটে ডলার দিচ্ছি। তবুও রেমিট্যান্স আসছে না। অথচ তুলনামূলকভাবে দুর্বল একটি ব্যাংক একই রেটে আমাদের চেয়ে ৪ থেকে ৫ গুণ বেশি রেমিট্যান্স পাচ্ছে। তিনি বলেন, রেমিট্যান্স ডলারের রেটের প্রতি সংবেদনশীল। যে ব্যাংক বেশি দাম দেবে, স্বাভাবিকভাবেই সেখানে বেশি রেমিট্যান্স যাবে।

২৫শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের সপ্তাহভিত্তিক রেমিট্যান্স ইনফ্লোর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যাংকিং খাত মোট ১.৬৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পেয়েছে। বিভিন্ন ব্যাংকের রেমিট্যান্স প্রবাহে ভিন্ন প্রবণতা রয়েছে। কিছু ব্যাংকের রেমিট্যান্স গত দুই সপ্তাহে কমে গেছে।  উৎস: মানবজমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়