শিরোনাম
◈ পদত্যাগ করলেন আইসিসির প্রধান নির্বাহী অ্যালারডাইস ◈ বলিভিয়াকে হারিয়ে সুপার সিক্সে আর্জেন্টিনা ◈ দুই বিদেশি ক্রিকেটার চিটাগং কিংস মালিকের বিরুদ্ধে পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ আনলেন ◈ আবারো রাজপথে নামতে যাচ্ছে বিএনপি! ◈ ক্রিকেটারদের পাওনা পরিশোধে দুর্বার রাজশাহীকে সময় বেধে দিলো বিসিবি ◈ শুক্রবার শুরু হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা, প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছেন ৪১ জেলার মুসল্লি ◈ সুগন্ধি চাল রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারে সরকার ◈ স্টেশনে আসছেন যাত্রীরা, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ◈ রেলের স্টাফদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার, মধ্যরাতে জানালেন হাসনাত আব্দুল্লাহ ◈ সব ধরনের ফেডারেল অনুদান ও ঋণ স্থগিত করার নির্দেশ ট্রাম্পের

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২:৩৬ রাত
আপডেট : ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সালমানের ৬৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি খাত ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) অনুরোধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। বিএসইসি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারির সঙ্গে সালমান এফ রহমানের নাম ব্যাপকভাবে জড়িয়ে আছে। ১৫ বছরে পুঁজিবাজারে বেপরোয়া লুটপাট করা হয়েছে। ৫ আগস্টের পর বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। সম্প্রতি সালমান এফ রহমানের শেয়ার জব্দের জন্য বিএফআইইউ থেকে বিএসইসিকে অনুরোধ করা হয়। ফলে সালমান এফ রহমানের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ৬ হাজার ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার ছাড়াও আরও কয়েকজন উদ্যোক্তার ৭০০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করেছে কমিশন। 

অন্যদিকে আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংক হিসাব ও পুঁজিবাজারের উদ্যোক্তাদের ২২ হাজার কোটি টাকার সম্পদ জব্দ করেছে বিএফআইইউ। এর মধ্যে ব্যাংক খাত থেকে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি এবং পুঁজিবাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও আলোচ্য সময়ে ১১২টি মামলায় ৩৬৬ ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে বিএফআইইউ। যেসব হিসাবে অনিয়ম পাওয়া গেছে, তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। 

এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে সালমান এফ রহমান ও এস আলমের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিএসইসি। সালমান এফ রহমান রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন বলে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত ওই তথ্যের ভিত্তিতে এস আলম ও সালমান এফ রহমানের পরিবার এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে শেয়ারবাজারে অনিয়ম তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। 

ঋণখেলাপি, জমি জালিয়াতি, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারি বললেই সবার আগে আসে সালমানের নাম। তার হাত ধরেই দেশের ঋণখেলাপির সংস্কৃতির বিকাশ হয়। অর্থাৎ, এ জগতে তার একচ্ছত্র আধিপত্য। বিভিন্ন তথ্য বলছে, নামে-বেনামে তার ঋণের পরিমাণ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। শুধু জনতা ব্যাংকেই বেক্সিমকোর ২৯ প্রতিষ্ঠানের ঋণ সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু ব্যাংকটির পরিশোধিত মূলধন ২ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা।

এ হিসাবে পরিশোধিত মূলধনের ৯৩৪ শতাংশ ঋণ দেওয়া হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি বেক্সিমকো লিমিটেড এবং বেক্সিমকো ফার্মার ঋণ ৬ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা। কিন্তু এ দুই কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ পরিশোধিত মূলধনের ছয়গুণ ঋণ কোম্পানি দুটিতে। এর মধ্যে বেক্সিমকো লিমিটেড ৫ হাজার ৯৫৭ কোটি এবং বেক্সিমকো ফার্মার ৭৪৬ কোটি টাকা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়