শিরোনাম
◈ চাঁনখারপুল গণহত্যা : সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন ◈ এবার ব্যাংক হিসাব তলব মডেল মেঘনা আলমের ◈ করফাঁকির কারণে ২০২৩ সালে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারিয়েছে সরকার: সিপিডি ◈ দেশে তিন স্তরে কমছে ইন্টারনেটের দাম ◈ অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তাকারীদের মার্কিন দূতাবাসের হুঁশিয়ারি ◈ সতর্ক সংকেত জারি, আজ বজ্রপাতে মৃত্যুর ঝুঁকি খুবই বেশি ◈ পলাতক সাবেক মন্ত্রী-এমপিরা যুক্তরাজ্যে আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে  ◈ বিএনপির নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ: বাম দলগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা ◈ হাথুরুসিংহে ও তার দুই সহকারী ‘নাসুমকে চড় মারা’ প্রসঙ্গে যা বললেন ◈ অ্যাঞ্জেলিনা জোলির সমর্থন গাজার প্রতি, ইসরায়েলি হামলাকে বললেন ‘গণকবরের মতো ধ্বংসযজ্ঞ’

প্রকাশিত : ০২ জানুয়ারী, ২০২৫, ০২:০৯ রাত
আপডেট : ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশ ব্যাংকের তিন ব্যাংককে ১২,৫০০ কোটি টাকার বিশেষ ঋণ  

বাংলাদেশ ব্যাংক বিদায়ী ২০২৪ সালের শেষ দিনে আর্থিক হিসাব ঠিক রাখতে তিনটি বেসরকারি ব্যাংককে ১২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিশেষ ঋণ প্রদান করেছে। এই ব্যাংকগুলো হলো ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক। সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বছরের শেষ দিনে চলতি হিসাবের ঘাটতি পূরণে এই অর্থ দেওয়া হয়।  

বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, ন্যাশনাল ব্যাংক পেয়েছে ৬ হাজার কোটি টাকা, এবং এবি ব্যাংক পেয়েছে ১ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও, দৈনন্দিন তারল্য সংকট মেটাতে এবি ব্যাংককে আরও দুইশত কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে।  
 
বুধবার (১ জানুয়ারি) এই ঋণ ফেরত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিশেষ এই ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলোকে ১১ দশমিক ৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হবে।  

গত ১৫ বছরে নানা অনিয়মের কারণে তিন ব্যাংকই বড় ধরনের তারল্য সংকটে পড়েছে। ইসলামী ব্যাংক থেকে এস আলম গ্রুপ প্রায় ৭৩ হাজার কোটি টাকা ঋণের নামে বের করে নেয়, যা ব্যাংকটির মোট ঋণের ৫০ শতাংশ।  

ন্যাশনাল ব্যাংকেও সিকদার গ্রুপসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বিশাল অঙ্কের ঋণ অনিয়মিত হয়েছে। অন্যদিকে, এবি ব্যাংক দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের শিকার, যা এর প্রতিষ্ঠাতা বিএনপি সরকারের সাবেক মন্ত্রী মোরশেদ খানের পরিবার দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছিল।  
 
ঋণ অনিয়মের কারণে এই ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নগদ জমার হার (সিআরআর) এবং বিধিবদ্ধ জমার হার (এসএলআর) বজায় রাখতে পারছে না। আগে থেকেই ট্রেজারি বিল ও বন্ড বন্ধক রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে তারা ঋণ নিয়েছে। ফলে নতুন করে ধার নেওয়ার কোনও উপকরণ না থাকায় বছরের শেষ দিনে বিশেষ ঋণের প্রয়োজন হয়।  

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, এই ঋণ ব্যাংকগুলোর চলতি হিসাব উদ্বৃত্ত দেখাতে সহায়তা করলেও মূল সমস্যার সমাধানে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন। অনিয়ম রোধে কার্যকর ব্যবস্থা না নিলে ভবিষ্যতে এই ধরনের সংকট পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে।  উৎস: প্রথম আলো ও ইত্তেফাক।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়