ডেইলি মেইল: রয়টার্সের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ মিডিয়া ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেল, বিপি, গ্লেনকোর এবং আরামকোর মত অন্তত দুই ডজন সংস্থা এখন বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ স্পট লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহকারী হিসাবে সুযোগ দিয়েছে যাতে এলএনজি আমদানিতে একচেটিয়া ব্যবসার পরিবর্তে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি এবং খরচ কমানো যায়। আর এতে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে।
বাংলাদেশের স্পট মার্কেটে আগে ভিটল, গানভোর এবং এক্সেলরেট এনার্জির আধিপত্য ছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের জালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, বেসরকারি টেন্ডারের পরিবর্তে এলএনজি আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামীলীগ শাসনামলে বেসরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে এলএনজি আমদানি ব্যবসা ছিল সরকারের কাছের লোকজনের কাছে মনোপলি ব্যবসা।
১৭১ মিলিয়ন লোকের দেশ বাংলাদেশ ২০১৮ সালে প্রথম এলএনজি আমদানি শুরু করে। ২০২৩ সালে ৫.২ মিলিয়ন মেট্রিক টন আমদানি হয় যা আগের বছরের থেকে ১৯% বেশি, এবং বিশ্লেষকরা আশা করছেন যে জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং গার্হস্থ্য গ্যাসের উৎপাদন কমে যাওয়ার সাথে সাথে এলএনপির চাহিদা বাড়তে থাকবে।
বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৬০ বিলিয়ন টাকা (৫০৪ মিলিয়ন ডলার) এলএনজি আমদানিতে ব্যয় করে, প্রধানত পাওয়ার প্ল্যান্ট চালানোর জন্য, যার অর্ধেকের বেশি আসে কাতার এবং ওমানের সাথে সরকারি চুক্তি থেকে এবং বাকিটা স্পট মার্কেটের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার প্রায় অর্ধেকই গ্যাসভিত্তিক, কিন্তু অনেক প্ল্যান্টে তা সরবরাহের অভাব রয়েছে। উপদেষ্টা খান বলেন, আরামকো, শেল, বিপি সহ অনেক বহুজাতিক কোম্পানি বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানির জন্যে আবেদন করেছে। এ খাতে আরো প্রতিযোগিতা সৃষ্টির জন্যে এসব কোম্পানিকে বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে। এ অনুমতি দেবে রাষ্ট্র-চালিত রূপান্তরিত প্রকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। এপর্যন্ত বাংলাদেশে এলএনজি রপ্তানিতে ৩৩টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে সৌদি আরবের আরামকো , বিপি সিঙ্গাপুর, শেল ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং মিডল ইস্ট এবং গ্লেনকোর সিঙ্গাপুর নতুন করে তালিকাভুক্ত হয়েছে। রয়েছে ভিটল এশিয়া, গানভোর সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রের এক্সসেলেরেটের মত কোম্পানি।
নভেম্বরে, আরপিজিসিএল একটি স্পট ভিত্তিতে এলএনজি সরবরাহ করার জন্য এসব কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। বাংলাদেশ বছরে প্রায় ১০০টি এলএনজি কার্গো আমদানি করে, যার মধ্যে ৫০টিরও বেশি কাতার এবং ওমানের সাথে সরাসরি চুক্তির মাধ্যমে এবং বাকিগুলি ব্যক্তিগত সরবরাহকারীদের কাছ থেকে স্পট ক্রয় হিসাবে নেওয়া হয়।
আপনার মতামত লিখুন :