শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ০৬:২২ বিকাল
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বকেয়া পরিশোধে উদ্যোগ সত্ত্বেও সরবরাহ আরও কমাল আদানি

বকেয়া পাওনা পরিশোধে চাপ দিতে গত মাসেই বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেক কমিয়েছে ভারতীয় আদানি পাওয়ার। এরই মধ্যে সরকার মোট পাওনার বড় অংশ পরিশোধের ব্যবস্থা নিয়েছে। কিন্তু এর পরও বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে আদানি।

বাংলাদেশের গ্রিড অপারেটরের ডেটা এবং আদানির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পর্কিত দুই ব্যক্তি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের পাওনা ৮০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি। এই অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে প্রতিবেশী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে তারা।

আদানি পাওয়ার চলতি মাসে সরবরাহ আরও কমিয়ে আনায় আগস্টের শুরুতে যেখানে প্রায় ১ হাজার ৪০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট (এমডব্লিউ) সরবরাহ ছিল, সেটি এখন ৭০০–৭৫০ মেগাওয়াটে নেমে এসেছে।

পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গড্ডা এলাকায় অবস্থিত ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ (পিজিবি) এবং বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) একজন প্রতিনিধির তথ্য অনুযায়ী, গত বৃহস্পতিবার রাতে আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ আরও কমিয়েছে। এতে এখন আদানি পাওয়ার থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের পরিমাণ প্রায় ৫২০ মেগাওয়াটে নেমেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান গত বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা ধীরে ধীরে পাওনা পরিশোধ করছি এবং কেউ যদি সরবরাহ বন্ধ করে, তবে বিকল্প ব্যবস্থা নেব। আমরা কোনো বিদ্যুৎ উৎপাদককে জিম্মি হতে দেব না।’

এদিকে বকেয়া পরিশোধের পদক্ষেপ ত্বরান্বিত করা এবং আদানির ৭ নভেম্বরের আলটিমেটাম তুলে নেওয়ার পরও বাংলাদেশ কম সরবরাহ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন পিডিবি কর্মকর্তারা।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন বৈদেশিক ঋণ ও বকেয়ার অর্থ পরিশোধের গতি বাড়িয়েছে। আদানির জন্য এরই মধ্যে ১৭ কোটির ডলারের একটি লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলা হয়েছে।

এর পরও বিদ্যুৎ সরবরাহে কমিয়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আদানি পাওয়ারের পক্ষ থেকে রয়টার্সের প্রশ্নের জবাব পাওয়া যায়নি।

তবে আদানি পাওয়ারের একটি সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, বাংলাদেশের চাহিদা এবং বকেয়া পরিশোধের বিষয়টি মাথায় রেখে সরবরাহ ধীরে ধীরে কমানো হয়েছে। সূত্র : আজকের পত্রিকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়