শিরোনাম
◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন  ◈ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে নতুন বিনিয়োগ খুঁচছে সরকার  ◈ ঢাকায় ফিরলেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীরা ◈ প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিল নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন ◈ ইজিবাইকসহ অপহরণকৃত চালককে উদ্ধার করেছে নৌবাহিনী ◈ হামজা চৌধুরী‌কে দেখে সামিত শোম বললেন, আমি বাংলা‌দে‌শের হ‌য়ে খেল‌তে আগ্রহী, পাসপোর্ট করছি ◈ রোববার প্রথম টে‌স্টে বাংলা‌দেশ ও জিম্বাবু‌য়ে মু‌খোমু‌খি, না‌হিদ রানা‌কে ভয় পা‌চ্ছে সফরকারীরা  ◈ ইংল্যান্ড প্রিমিয়ার লি‌গে খেল‌বেন সাব্বির রহমান, রওনা হ‌বেন ২ মে ◈ ভারতের সঙ্গে ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলায়’ ডুবছে তাদেরই অর্থনীতি! ঢাকাকে বার্তা দিল নয়াদিল্লি: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ট্রাম্প-শি জিনপিং-মোদি এসে বাংলাদেশে কিছু করে দিয়ে যাবেন না: মির্জা ফখরুল (ভিডিও)

প্রকাশিত : ০৯ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:০২ দুপুর
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাকিস্তানের বিলম্বের সুযোগ নিয়ে ২ কোটি ডলারের সিগারেট রপ্তানি করল বাংলাদেশ

নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনে বিলম্ব হওয়ায় পাকিস্তান সুদানে ২ কোটি ৫ লাখ ডলারের সিগারেট রপ্তানি করতে ব্যর্থ হয়েছে। আর সেই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ এক মাসের মধ্যে সুদানে সমপরিমাণ মূল্যের সিগারেট রপ্তানি করেছে।

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম প্রফিট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ স্ট্যাটুটরি রেগুলেটরি অর্ডারে (এসআরও) প্রয়োজনীয় সংশোধনীর অনুমোদন দিলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনীহা ও পদক্ষেপহীনতায় রপ্তানি আদেশটি বাতিল হয়ে যায়।

এ ছাড়া আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর চাপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। এনজিওগুলো পাকিস্তানের সিগারেট রপ্তানি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ও প্রক্রিয়াটিকে ধীর করে দেয়।

এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ মাত্র এক মাসের মধ্যে সুদানে দ্রুত প্রয়োজনীয় সিগারেট সরবরাহ করেছে।

রপ্তানি বাজারে দুর্বলতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এই বৈদেশিক আয় থেকে পাকিস্তান বঞ্চিত হলো বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বাজারেও অবৈধ সিগারেট বিক্রি বেড়ে চলেছে। ফলে বৈধ সিগারেটের বিক্রি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে প্রায় ৮০ কোটি বৈধ শলাকা বিক্রি কমেছে।

একটি প্রধান ব্র্যান্ডের বার্ষিক বিক্রি ৬৬০ মিলিয়ন শলাকা থেকে কমে ৩০০ মিলিয়ন শলাকায় নেমে এসেছে।

প্রতিবেদনটি বলছে, এই পরিস্থিতির কারণে চলতি অর্থবছরের শেষে পাকিস্তানের সিগারেট বাজারে চার বিলিয়ন রুপি রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিতে পারে। চোরাচালান প্রতিরোধে প্রাদেশিক কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করলে বেআইনি বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হতে পারে ও কিছু হারানো রাজস্ব পুনরুদ্ধার সম্ভব হবে।

সরকারি উদ্যোগ সত্ত্বেও বৈধ সিগারেট শিল্পকে সহায়তা ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতামূলক বাজারে রপ্তানির সুযোগ বাড়াতে পাকিস্তানের জন্য এখনো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়