শিরোনাম
◈ ঢাকায় ‘র’ এর স্টেশন চীফ কে, জানালেন সাংবাদিক জুলকারনাইন ◈ আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের: গত ৩৬ বছরে শুধু সন্দ্বীপের আশপাশে ভূমি বেড়েছে ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার ◈ আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ আশুগঞ্জের ‍তরুণ রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে, খবর এলো মৃত্যুর ◈ ৬ মাসের শিশু রিকশা উল্টে নালায় পড়ে নিখোঁজ ◈ অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের প্রেমে পালালেন মামি, সন্তান ও স্বর্ণালঙ্কারসহ উধাও ◈ যুক্তরাষ্ট্রে শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, এআই নিরীক্ষায় ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ◈ শনিবার থেকে গুলশানে বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল ◈ আওয়ামী লীগকে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ◈ কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ রুটে সী ট্রাক চালু: পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

প্রকাশিত : ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১১:০৯ দুপুর
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৮:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পাচারের অর্থ ফেরাতে চলছে নানা তৎপরতা, যেসব উপায়ে ফিরিয়ে আনা যাবে দেশে (ভিডিও)

বৈশ্বিক একটি আর্থিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, গড়ে প্রতি বছর ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট এই দেশ থেকে!

টাকা পাচারকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত তাদের পাসপোর্ট বাতিলের পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ। দুর্নীতির অর্থ ও সম্পদ যেন কেউ উপভোগ করতে না পারে সেজন্য তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড নিশ্চিত করার পক্ষে মত আইনজীবীদের।

ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা রাঘববোয়াল অর্থপাচারকারীদের টাকা দেশে ফেরাতে তৎপর সরকার। পাচারের এ অর্থ ফেরানোর প্রক্রিয়া জটিল ও সময়সাপেক্ষ হলেও অসম্ভব নয় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

দায়িত্ব নেয়ার পর আর্থিক খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাচারের অর্থ ফেরাতে চলছে নানা তৎপরতা। জাতিসংঘ, বিশ্বব্যাংক, এফবিআইসহ বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠকও করেছে দুদক এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিগত সরকারের সময় এ নিয়ে যখন খুব একটা তৎপরতা ছিল না তখন অন্তর্বর্তী সরকারের এমন পদক্ষেপকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আইন বিশেষজ্ঞরা।

কিন্তু যে টাকা একবার দেশের গণ্ডি পেরোয় তাকে কি আর সহজে ফেরানো যায়? এ বিষয়ে অবশ্য আইনজীবীরা খুব একটা আশার আলো দেখছেন না। তারা বলছেন, আন্তর্জাতিক চুক্তি ও আইনের আলোকে অর্থ-সম্পদ ফেরত আনার সুযোগ থাকলেও তা জটিল এবং সময়সাপেক্ষ ব্যাপার।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, বিদেশে টাকা পাচারকারী হিসেবে যাদের সন্দেহ করা হচ্ছে, যথোপযুক্ত প্রমাণ সাপেক্ষে ওইসব দেশের কনভেনশন অনুযায়ী অনুরোধ করতে হবে। তাদের অর্থের পরিমাণ, সম্পদের সুনির্দিষ্ট তথ্যসহ বাংলাদেশ সরকারকে জানাতে হবে। সরকার তাদের এজেন্সির মাধ্যমে মামলাগুলো পরিচালনা করবে। রায় নিয়ে তা পাচার হওয়া দেশে পাঠানোর পর তারা তাদের যে কনভেনশন আছে তার আলোকে পাচার হওয়া অর্থ পাঠাবে বাংলাদেশে।

অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অর্থ একবার চলে গেলে তারা নিজেরা যদি না আনে, সরকারের কাছে অত্মসমর্পণ করে সহযোগিতা না করে তাহলে এসব অর্থ আনা দুঃসাধ্য।

অনেকটা একই মত পোষণ করলেন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক সভাপতি আব্দুল আওয়াল মিন্টু। তিনি বলেন, ঘর-বাড়ি যাই করুক, ব্যক্তিকে যদি ধরা যায় তবেই তা আনা সম্ভব। এখন সম্পদও বিদেশে, ব্যক্তিও বিদেশে তাহলে কীভাবে সম্পদ ফেরত আনাবেন? হয়তো কিছু আনা যাবে। কিন্তু অধিকাংশই আনা কঠিন হবে।

তবে পাচারকারী ব্যক্তি এবং তার সম্পদের হদিস মিললে তাদের পাসপোর্ট বাতিল করে দ্রুত অর্থ ফেরানো সম্ভব বলে মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাসুদ আর সোবহান।

তিনি বলেন, অভিযুক্তদের পাসপোর্ট যদি বাতিল হয়ে যায় এবং যে দেশে আছে তারা রাজনৈতিক আশ্রয় না দেয় তাহলে মানিলন্ডারিং, হত্যাসহ নানা অপরাধে জড়িতদের ফেরত পাওয়া যাবে।

৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেড়শতাধিক ব্যক্তির অর্থপাচার এবং দুর্নীতির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তবে গত ১৭ বছরে শুধু একজনের অর্থ ফেরত আনা এবং বিদেশে একজনের অর্থ জব্দ করতে পেরেছে দুদক।
 
বৈশ্বিক একটি আর্থিক গবেষণা সংস্থার প্রতিবেদন বলছে, গড়ে প্রতি বছর ৮০ হাজার কোটি টাকা পাচার হচ্ছে তৃতীয় বিশ্বের ছোট্ট এই বাংলাদেশ থেকে। সূত্র : সময়টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়