শিরোনাম
◈ শিক্ষার্থীদের নতুন দল গঠনের ঘোষণা, রাজনীতিতে নানা আলোচনা ◈ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে: আখতার হোসেন (ভিডিও) ◈ ভারতের সাম্ভালে মুসলিম সংসদ সদস্যকে বিদ্যুৎ চুরির জন্যে ২ কোটি টাকা জরিমানা ◈ কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বিএনপি নেতারা ◈ পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে: সিটিটিসি প্রধান  ◈ বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৩৮ জনের প্রাণহানি ◈ বিএনপি অফিসে আ.লীগের হামলা, আহত ১০ ◈ ২৫ ক্যাডারের নতুন সংগঠন ◈ চলতি মাসের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ১২:২৭ দুপুর
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

যেভাবে নাগালে আসবে ইলিশের দাম, জানাল ভোক্তা অধিকার

ইলিশের ঊর্ধ্বমুখী দাম নিয়ন্ত্রণে দেশের বিভিন্ন জেলার বাজারে অভিযান পরিচালনা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। এসময় ব্যবসায়ীরা কারসাজি করে দাম বাড়াচ্ছেন উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, কেনাবেচার রশিদ সংরক্ষণ করা গেলেই আবারও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে আসবে ইলিশের দাম।

বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ভোরে দেশের বিভিন্ন ইলিশের বাজার ও আড়তগুলোতে অভিযানে নামে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। রাজধানী কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ি পাইকারি মাছের আড়তে অভিযান চালায় প্রতিষ্ঠানটির দুটি বিশেষ টিম। বাজার অভিযানে এসে ইলিশের বাড়তি দামের প্রমাণ মেলে বলে জানান প্রতিষ্ঠানটির ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।

 তিনি বলেন, আড়তদাররা যে দামে ইলিশ বিক্রি করছেন, সেটি যৌক্তিক কিনা তাতে সন্দেহ রয়েছে। বিক্রির পাকা রশিদও দেয়া হচ্ছে না। ফলে খুচরা ব্যবসায়ীরাও দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছেন।
 
যৌক্তিক লাভ করেই ব্যবসায়ীদের ইলিশ বিক্রি করতে হবে জানিয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, সরকার ভারতে ইলিশ মাছ রফতানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ খবর জানা মাত্রই মাছ ব্যবসায়ীরা অযৌক্তিকভাবে কেজিপ্রতি ২০০-৩০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। এসব নির্মূল করতে হবে।
 
 তিনি বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীরা ১৫৫০ টাকায় কিনে ২২০০ টাকায় ইলিশ বিক্রি করছেন। প্রায় ৬৫০ টাকা বেশিতে বিক্রি করছেন। মুনাফার অতি লোভের করুণ চিত্র এখন মাছ বাজারে। সারা দেশে একই অবস্থা। এতে ভোক্তা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে ইলিশ।
 
হাট থেকে সিন্ডিকেট শুরু হয়, সেখানে কবে অভিযান পরিচালনা করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সকল জেলায় ইলিশ মাছ ধরা হয় এবং পাইকারি বিক্রি করা হয়, সেসব জেলাতে আজকে একযোগে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্রয়-বিক্রয়ে পাকা রশিদ নিশ্চিত করতে পারলে খুচরা পর্যায়ে কম দামে ইলিশ বিক্রি সম্ভব হবে।
 
অভিযান শেষে আবার বাড়তি দামেই ইলিশ বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, দামের পাশাপাশি ওজনেও কারসাজি করা হয়। অসাধু ব্যবসায়ীরা এর মাধ্যমেও ভোক্তাদের ঠকিয়ে আসছেন।
 
তবে অভিযান শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকারের তদারকি দল জানায়, ‘কেনাবেচার রশিদ সংরক্ষণ করা গেলেই আবারও সাধারণ মানুষের হাতের নাগালে চলে আসবে এ মাছটি। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। জেল-জরিমানা করে এসব ঠিক করা যাবে না। আমরা অ্যাকশনে যেতে চাই না।’ উৎস: সময়টিভি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়