তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট প্রসঙ্গে এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের উদ্যোক্তা এ কে আজাদ বলেছেন, এভাবে মার খেয়ে আমরা কারখানায় যাব না। আমাদের যদি নিরাপত্তা দেন, তাহলে আমরা কারখানা চালাব, না হলে আমাদের পক্ষে সম্ভব না। আজ থেকে ১০ দিন আগে আমরা জেনারেল মঈনকে বলেছি, ১৩ (১) ধারায় ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দিতে চাই। আমরা আর পারছি না। তিনি আমাদের বলেছেন, আরেকটা দিন চালান। আরেকটা দিন চালান। উনার কারণে আমরা চালিয়েছি। কিন্তু আমরা নিরুপায়। যত দিন খোলা রাখছি, আমাদের ক্ষতি আরো বেশি হয়।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ ভবনে এক মতবিনিময় সভায় শিল্প উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তৈরি পোশাক কারখানায় চলমান সংকট ও উত্তরণের পথ নিয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বিজিএমইএ। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম, শ্রম উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া প্রমুখ।
একে আজাদ বলেন, আমার অধীনে ৭৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করেন। গত মাসের বেতন দিয়েছি, আমার খুব কষ্ট হয়েছে। তৎকালীন সরকারের সময় ছুটি, কারফিউর সময় আমরা কাজ করতে পারিনি। সরকার পরিবর্তন হওয়ার সময় আবার সরকারি ছুটি, কারফিউ-কাজ করতে পারিনি। তারপর শুরু হলো শ্রমিক আন্দোলন। প্রথমে নাসা গার্মেন্টস থেকে শুরু হলো। নাসা গার্মেন্টস থেকে বের হয়ে পাশের গার্মেন্টসে।
পাশের গার্মেন্টস থেকে এসে আমার গার্মেন্টসে দরজা ভাঙতে শুরু করল। আমাদের দুটো গেট। প্রথম গেট ভেঙে ফেলল। কী চাই? চাকরি চাই। কেন চাই? বেকার সংঘ, এমন একটা সমিতি বের হলো। তাদের চাকরি দিতে হবে। আমরা সব দাবি মেনে নিলাম। আমাদের দাবি ছিল, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেন, নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস দেন। আজো নিরবচ্ছিন্ন কী জিনিস সেটা বুঝতে পারিনি। ডিজেলে আজো চার থেকে পাঁচ ঘণ্টা কারখানা চালাতে হয়। ডিজেলে চালাতে হলে আমার খরচই উঠবে না।
তিনি বলেন, আমরা জানতে চাই, কারখানা খোলা রাখব নাকি বন্ধ রাখব- এ ব্যাপারে সঠিক দিকনির্দেশনা চাই।
আপনার মতামত লিখুন :