শিরোনাম
◈ জাতীয় সংসদের আসন ৬০০ করার সুপারিশ নারী সংস্কার কমিশনের ◈ ১১ ওভারের মধ্যে জিতেও বিদায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ◈ অফিস সময়ে সভা করতে সম্মানী নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ হজ ফ্লাইট ২৯ এপ্রিল, বিড়ম্বনা ও দুর্ভোগ ছাড়াই হজে যাবেন যাত্রীরা ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন ছাপিয়ে বিলি করা হবে: ড. ইউনূস ◈ ৪ বিয়ে করে বিপাকে বৃদ্ধ, থানায় দেখা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে ◈ প্রধানমন্ত্রী নয়, মন্ত্রিপরিষদ শাসিত সরকার চায় এনসিপি: নাহিদ ইসলাম ◈ ইসরাইলিদের আল-আকসা মসজিদ ধ্বংস করার গুঞ্জন, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা ◈ শেখ মুজিবের ছবি অপসারণের ঘটনায় শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ছাত্রদলের প্রতিবাদ ◈ বড় হারে অনিশ্চয়তায় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্বপ্ন 

প্রকাশিত : ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:০৩ দুপুর
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এস আলম ২২০ কোটি টাকা তুলে নিল বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষণার পর

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রাতিষ্ঠানিক হিসাবগুলোর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর শরিয়াহভিত্তিক ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে বিতর্কিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ। তবে ওই অর্থ কোন খাতে ব্যবহার করা হয়েছে তার বিস্তারিত জানা যায়নি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হবে না—এমন নির্দেশনা দেওয়ার পর থেকেই ব্যাংক থেকে টাকা তোলা শুরু করেছে এস আলম। এরই মধ্যে ৩ ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে সংকটে থাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে তোলা হয়েছে ৫ কোটি টাকা। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংকের বংশাল, চট্টগ্রামের একটি শাখা ও গুলশান শাখা থেকে তোলা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার বেশি। বাকি অর্থ তোলা হয়েছে স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের বনানী ও চট্টগ্রাম শাখা থেকে। যদিও বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুল মওলা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সুযোগ নেই। এস আলমের অ্যাকাউন্ট ব্লক করা আছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এস আলমের ব্যাংক হিসাব থেকে কিছু টাকা তোলা হয়েছে। ওই টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা হচ্ছে তা মনিটরিং করা হচ্ছে। কারণ কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লেনদেন ও ব্যবসা বন্ধ করতে চায় না বাংলাদেশ ব্যাংক।

জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের স্বার্থে প্রাতিষ্ঠানিক ব্যাংক হিসাবগুলো স্থগিত করা হয়নি। এটা স্থগিত করা ঠিকও হবে না। তবে এসব হিসাব থেকে কোনো অর্থ বের করে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র জানায়, ব্যাংকগুলোকে কোনো কোম্পানির হিসাব স্থগিত না রাখতে বলা হয়েছে। এজন্য ব্যাংক থেকে টাকা তুলছে এস আলম। তবে এস আলমের ব্যক্তিগত নামে হিসাব না থাকায় টাকা কোন খাতে ব্যবহার করা জন্য তোলা হচ্ছে তা ধরা যাচ্ছে না। এজন্য বংশাল ও গুলশান শাখা থেকে সন্দেহভাজন কোনো অর্থ বিতরণে নিষেধ করা হয়েছে। পাশাপাশি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, ইসলামী ব্যাংক ও স্যোশাল ইসলামী ব্যাংক থেকে ৩ প্রতিষ্ঠানের নামে ১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বের করে নিতে চায় এস আলম। সন্দেহজন ওই ঋণ আটকে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব ঋণের সুবিধাভোগী এস আলম গ্রুপ। এমন সন্দেহের কারণেই ঋণগুলো বিতরণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। সূত্র : কালবেলা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়