ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের দাম চলতি সপ্তাহে আগের তুলনায় দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। গ্লোবাল ডেইরি ট্রেডের (জিডিটি) আন্তর্জাতিক নিলামে এ দরপতন পরিলক্ষিত হয়। তবে দুই সপ্তাহ আগে জিডিটিতে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম ৫ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। খবর দ্য কান্ট্রি।
জিডিটি মূল্যসূচক অনুযায়ী, ননিযুক্ত গুঁড়া দুধের (ডব্লিউএমপি) মূল্য চলতি সপ্তাহে ২ দশমিক ৫ শতাংশ কমেছে। টনপ্রতি গড় মূল্য নেমেছে ৩ হাজার ৩৯৬ ডলারে। আগের নিলামে পণ্যটির দাম ৭ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল।
ননিবিহীন গুঁড়া দুধ (এসএমপি) ফন্টেরার (নিউজিল্যান্ডের কৃষকদের মালিকানাধীন একটি বহুজাতিক ডেইরি প্রতিষ্ঠান) দ্বিতীয় বৃহত্তম রেফারেন্স পণ্য। চলতি সপ্তাহে পণ্যটির দাম ৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়েছে। টনপ্রতি গড় মূল্য নেমেছে ২ হাজার ৭৫৩ ডলারে।
জিডিটি মূল্যসূচকে চলতি সপ্তাহে মাখনের দাম সবচেয়ে বেশি কমেছে। পণ্যটির দাম দশমিক ৯ শতাংশ কমে টনপ্রতি গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৬৭৫ ডলারে।
তবে এবারের নিলামে সবচেয়ে বড় দরপতন হয়েছে ল্যাক্টোজের। এটির দাম ৮ দশমিক ৯ শতাংশ কমে টনপ্রতি মূল্য হয়েছে ৮৬৩ ডলার।
এদিকে এবারের নিলামে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বাটার মিল্ক পাউডারের দাম। ৮ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে গড় মূল্য পৌঁছেছে ৩ হাজার ২৪ ডলারে। মজারেলা পনিরের দাম ৭ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি মূল্য ৫ হাজার ১৪৫ ডলারে পৌঁছেছে। চেডার পনিরের দাম দশমিক ৯ শতাংশ বেড়ে গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে টনপ্রতি ৪ হাজার ৩২৪ ডলার। চলতি সপ্তাহে অ্যানহাইড্রাস মিল্ক ফ্যাটের দামও বেড়েছে। এটির দাম দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে টনপ্রতি গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৩১১ ডলারে।
আন্তর্জাতিক নিলামটিতে চলতি সপ্তাহে দুগ্ধজাত পণ্যের দাম কমলেও বিক্রি বেড়েছে। এবারের নিলামে মোট ৩৮ হাজার ৩৪৬ টন পণ্য কেনাবেচা হয়েছে, আগের নিলামে যা ছিল ৩৪ হাজার ৯১৬ টন।
দুগ্ধপণ্য উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। দুগ্ধপণ্যের দাম কমে গেলে দেশটির অর্থনীতিতে উদ্বেগ বাড়ে। কারণ দেশটির জিডিপির বড় একটি অংশ আসে দুগ্ধজাত পণ্য থেকে।
প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি বিভাগের (এফএও) মাসভিত্তিক মূল্যসূচক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের দাম জুলাইয়ে স্থিতিশীল ছিল। এফএওর মূল্যসূচক মূলত আন্তর্জাতিক বাজারে সবচেয়ে বেশি বাণিজ্য হওয়া খাদ্যপণ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়।
এফএও গত মাসের দুগ্ধজাত পণ্যের মূল্যসূচক ১২৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট নির্ধারণ করে। জুনেও একই মূল্যসূচক নির্ধারণ করেছিল সংস্থাটি। তবে জুলাইয়ের মূল্যসূচক গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৬ পয়েন্ট (৭ দশমিক ২ শতাংশ) বেশি। এ সময় বিশ্বব্যাপী গুঁড়া দুধের দাম কমলেও ঊর্ধ্বমুখী ছিল মাখন ও পনিরের বাজার, যা দুগ্ধজাত পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
সুত্র : বণিক বার্তা
আপনার মতামত লিখুন :