শিরোনাম
◈ ঢাকায় ‘র’ এর স্টেশন চীফ কে, জানালেন সাংবাদিক জুলকারনাইন ◈ আয়তন বাড়ছে বাংলাদেশের: গত ৩৬ বছরে শুধু সন্দ্বীপের আশপাশে ভূমি বেড়েছে ৪৭৫ বর্গকিলোমিটার ◈ আগামী ঈদের আগেই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার : জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ◈ আশুগঞ্জের ‍তরুণ রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধে, খবর এলো মৃত্যুর ◈ ৬ মাসের শিশু রিকশা উল্টে নালায় পড়ে নিখোঁজ ◈ অনার্স পড়ুয়া ভাগ্নের প্রেমে পালালেন মামি, সন্তান ও স্বর্ণালঙ্কারসহ উধাও ◈ যুক্তরাষ্ট্রে শত শত শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল, এআই নিরীক্ষায় ভারতীয় ও বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ◈ শনিবার থেকে গুলশানে বন্ধ হচ্ছে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল ◈ আওয়ামী লীগকে বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিষিদ্ধ করতে হবে: শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ◈ কক্সবাজার-মহেশখালী নৌ রুটে সী ট্রাক চালু: পর্যটনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন

প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট, ২০২৪, ১২:৫৬ দুপুর
আপডেট : ০৬ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর বিদেশি ঋণ পরিশোধ শুরু

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে গণঅভ্যুত্থান ও সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সৃষ্ট অস্থিরতার কারণে পেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ থাকায় প্রায় দুই সপ্তাহ বিদেশি ঋণের অর্থ পরিশোধ বন্ধ ছিল। তবে সংকট কাটিয়ে ফের শুরু হয়েছে কার্যক্রম। সূত্র : আরটিভি

গতকাল সোমবার (১২ আগস্ট) দুপুরের পর অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ঋণ পরিশোধের জন্য নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনার মাধ্যমে বিদেশি ঋণের সুদ-আসল এবং জ্বালানি তেল ও সারের বিল পরিশোধ আবার নিয়মিত করার উদ্যোগ নেওয়া হলো।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন গড়ে সাড়ে তিন কোটি ডলার ঋণ ও বিল পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

এদিকে ঋণ পরিশোধ দুই সপ্তাহ বন্ধ থাকায় দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিংয়ের (সানেম) নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান। তিনি বলেন, ঋণ পরিশোধ বন্ধ থাকায় দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে। বিদেশে অর্থ পাঠাতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, এসব দেখেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করেন। পেমেন্ট গেটওয়ে সব সময় চালু রাখা উচিত।

ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে বিদেশি সহায়তাপুষ্ট তিনশোরও বেশি প্রকল্প আছে। এসব প্রকল্পের বেশিরভাগের বিদেশি ঋণের গ্রেস পিরিয়ড এখনো শেষ হয়নি। ফলে আসল পরিশোধ করতে না হলেও এসব ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হচ্ছে। অন্যদিকে বিদেশি ঋণ নিয়ে প্রকল্প শেষ করা হয়েছে, এমন প্রায় ৭০০ প্রকল্পের ঋণের সুদ ও আসল পরিশোধ করতে হচ্ছে সরকারকে।

সব মিলিয়ে প্রায় এক হাজার প্রকল্পের বিপরীতে নেওয়া বিদেশি ঋণের সুদ ও আসল নিয়মিতভাবে পরিশোধ করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ওই সব প্রকল্পের চুক্তির দিন অনুসারে সারা বছরের প্রতিদিনই কোনো না কোনো প্রকল্পের ঋণের অর্থসংশ্লিষ্ট বিদেশি সংস্থা ও দেশের কাছে পাঠাতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে ব্যবহার করেই এই অর্থ পাঠানো হয়।

প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট সহিংসতা ও পরবর্তী সময়ে সরকার পতনের ঘটনায় গত দুই সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট গেটওয়ে বন্ধ ছিল। অবশ্য অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিদিনই ঋণের অর্থ পাঠানোর চিঠি ইস্যু করেছে। কিন্তু অর্থ বিদেশে পাঠানো যায়নি। বাংলাদেশে এ ধরনের ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি।

ইআরডি সূত্রমতে, বাংলাদেশকে প্রতিদিন গড়ে এক কোটি ডলার বিদেশি ঋণ পরিশোধ করতে হয়। অন্যদিকে জ্বালানি তেল, সার এবং তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির বিল পরিশোধ করতে হয় দৈনিক গড়ে আড়াই কোটি ডলার।

উল্লেখ্য, বিগত কয়েক বছর ধরেই বিদেশি ঋণ পরিশোধের চাপ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। সামনে এ চাপ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়