শাহীন খন্দকার: [২] কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দেশব্যাপী অস্থিরতা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে জনজীবনে স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে। গত সপ্তাহ থেকে ধীর গতিতে হলেও বাজারে শাক-সবজি ,মাছ , ডিমের দাম আগের মুল্যে ফিরে আসছে। তবে ৪০-৬০ টাকার মধ্যেই সবজি পাওয়া যাচ্ছে। শাক পাওয়া যাচ্ছে ১৫-৩০ টাকার মধ্যে।
[৩] ব্যবসায়ীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে আসায় পাড়া-মহল্লা, হাট-বাজারে কেনাকাটা করছে মানুষ। সেই সঙ্গে ঢাকার আশেপাশেসহ বিভিন্ন জেলা থেকেও শাক-সবজি আসছে তবে বৃষ্টির কারণে মানুষ কেনাকাটা করতে কম আসছে। বিক্রিও কমেছে। পণ্যের সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমেছে।
[৪] শুক্রবার (২আগস্ট) রাজধানীর কৃষি বাজার ও আদাবরসহ মহাখালী কাঁচাবাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪০-১২০ টাকায়, বরবটি ১০০ টাকায়, কাঁকরোল ৪০-৬০ টাকায়, পটল ৪০-৫০ টাকায়, মরিচ ১৮০-২০০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৫০-৭০ টাকায়, ধুন্দল ৫০-৬০ টাকায়, পেঁপে ৫০- ৬০ টাকায়, কচুরলতি ৭০-৮০ টাকায়, কচুরমুখী ৭০-৮০ টাকায়, শসা ৬০-৭০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়া ও টমেটো ১৫০-২০০ টাকায়। করল্লাহ ৮০-১০০ টাকায়।
[৫] মহাখালী কাঁচাবাজার এর সবজি বিক্রেতারা জানান, আজকের বাজারে পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকায়, যা দুইদিন আগেও ছিল ৩০/৪০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। তবে টমেটোর সিজন শেষ হয়ে যাওয়ায় টমেটোর দাম দিনদিন বাড়ছে। কচুর লতি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায় এবং কচুর মুখি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৭০-৮০ টাকায়।
[৬] আদাবর কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা সাইফুল বলেন, শুক্রবার এলে কিছু জিনিসের দাম এমনিতেই বেড়ে যায়। শুক্রবার এলে শসা, টমেটো আর গাজর এই জিনিসগুলোর চাহিদা বাড়ে, দামও বাড়ে। এছাড়া বাজারে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ার দামটা একটু বাড়তি।
[৭] বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকর্তা বাজার করতে এস বলেন, কয়েকদিন আগেও এক পোয়া কাঁচা মরিচ কিনেছি ১০০ টাকায়, আজ সেটিই কিনলাম ৬০ টাকায়। আমার তো মনে হচ্ছে, সপ্তাহের ব্যবধানে এত দাম বাড়ার পেছনে ব্যবসায়ীদের শক্ত সিন্ডিকেটই দায়ী। তারা অধিক লাভের আশায় ইচ্ছাকৃতভাবেই দাম বাড়িয়েছে তারা কোটা আন্দোলনকে পুঁজি করে। এছাড়া কমেছে মাছের দাম ও কিছুটা। ৫০০ গ্রাম আকারের ইলিশ মাছের কেজি এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা এবং ৭০০-৮০০ গ্রামের মাছ এক হাজার ৪০০ থেকে এক হাজার ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
[৮] চাষের শিং (আকারভেদে) বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকায়। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৩৫০ থেকে ৬০০ টাকা হয়েছে। দেশি মাগুও মাছের কেজি ৯০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, চাষের পাঙাস ১৯০ থেকে ২২০ টাকা ও চিংড়ির কেজি ৮০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা।এদিকে পাবদা ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৪০ টাকা, মলা ৬০০ টাকা, বাতাসি টেংরা এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
[৯] মাছ বিক্রেতারা বলেন, এখন সাপ্লাই আসতেছে, দাম আবার আগের মতো হচ্ছে। ক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, কোনো একটা ইস্যু পেলেই পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমাদের তো সেটা কেনার মতো আর্থিক অবস্থা থাকে না। আমাদের রোজগার তো সীমাবদ্ধ। আগে যতটুকু বাজার নিতাম, এখন তার অর্ধেক কিনে সংসার চালাই। এভাবে আর কতদিন চলবে জানি না ? সম্পাদনা: রাশিদ
আর/আইএফ
আপনার মতামত লিখুন :