শিরোনাম

প্রকাশিত : ০১ আগস্ট, ২০২৪, ০৮:০৮ রাত
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জুলাইয়ে ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন রেমিটেন্স

মনজুর এ আজিজ: [২] সদ্যবিদায়ী জুলাই মাসে যে রেমিটেন্স এসেছে, তা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। জুলাই মাসে রেমিটেন্স এসেছে ১৯১ কোটি মার্কিন ডলার। এর আগে সর্বশেষ গত বছরের সেপ্টেম্বরে সর্বনিম্ন ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রবাসী আয়সংক্রান্ত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

[৩] জানা যায়, শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সরকারি ও সাধারণ ছুটি মিলে গত ১৯ থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ ছিল। এছাড়া টানা ৫ দিন ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ১০ দিন মোবাইলে ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় গত মাসের প্রথম ৩ সপ্তাহে গড়ে ৪০ থেকে ৫০ কোটি ডলার রেমিটেন্স এসেছিল। এর মধ্যে ১ থেকে ২০ জুলাই এসেছে ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ ডলার। আর ২১ থেকে ৩১ জুলাই এসেছে ৪৭ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এর মধ্যে ৩১ জুলাই এক দিনেই এসেছে ১২ কোটি ডলার।

[৪] গত জুনে ২৫৪ কোটি ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা। জুনে দেশে যে পরিমাণ প্রবাসী আয় এসেছিল, তা ছিল একক মাস হিসেবে গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ডলারের প্রবাসী আয় এসেছিল।

[৫] এদিকে রেমিটেন্স কমে যাওয়ায় দেশের শীর্ষস্থানীয় ১২ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ডেকে রেমিটেন্স বাড়াতে জোর দেওয়ার তাগিদ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো রেমিটেন্স সংগ্রহে প্রতি ডলার ১১৭ থেকে ১১৮ টাকায় সংগ্রহ করে আসছিল। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার তাদের কিছুটা বাড়তি দাম দিয়ে হলেও বৈধ পথে আয় বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে রেমিটেন্সে ডলারের দাম ১২০ টাকায় উঠেছে।

[৬] সূত্র মতে, বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় তদারকি কমিয়ে দিয়েছে। পাশাপাশি যেকোনো ধরনের অর্থ বৈধ পথে দেশে আনার ক্ষেত্রে যে নিয়মকানুন রয়েছে, তা শিথিল করেছে। গত কয়েক মাসে যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছিল রেমিটেন্স দেশে আসার ক্ষেত্রে। গত মাসে সেই ধারায় কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে।

[৭] এর আগে ২০২০ সালে করোনা মহামারির কারণে আন্তর্জাতিক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে দেশে বৈধ পথে রেমিটেন্স আসা বেড়ে যায়। তখন বিপুল পরিমাণ রেমিটেন্স আসার কারণে রিজার্ভ বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পণ্য আমদানির খরচ বেড়ে মারাত্নক ডলার-সংকটে পড়ে দেশ। 

[৮] বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলারের রেমিটেন্স এসেছিল। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিটেন্স এসেছে ২ হাজার ৩৯১ কোটি ডলার।

[৯] বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, কেউ বিদেশ থেকে রেমিটেন্স দেশে পাঠিয়ে থাকলে ব্যাংকগুলো তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিতরণ করতে বাধ্য। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দেশের রেমিট্যান্স হাউসগুলো যদি এ আয় ধরে রাখে, তাহলে তা দেশে আসতে কিছুটা সময় লাগে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এমএএ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়