শিরোনাম
◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন ◈ কোন পথে সেভেন সিস্টার্স, ভারতের এত ভয় কেন? ◈ প্যাভিলিয়ন থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানো: 'বিশ্বের কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে ◈ সাকিব আল হাসা‌নের বিরুদ্ধে দুদকের কমিটি গঠন ◈ বাংলা‌দে‌শের ১৯১ রান শোধ ক‌রে ৮২ রা‌নের লিড নি‌লো জিম্বাবু‌য়ে ◈ আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতি কতজনকে মাফ করেছেন জানতে চান আদালত ◈ ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম গ্রেপ্তার ◈ বিশেষ বিসিএসে দু’হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেবে সরকার ◈ আওয়ামী লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে লন্ডনে একসঙ্গে সাবেক চার মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী!

প্রকাশিত : ৩০ জুলাই, ২০২৪, ০৭:১৬ বিকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২৫, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

খোলাবাজারে ডলারের দাম বেড়ে ১২৪ টাকা 

মনজুর এ আজিজ: [২] মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিল দিলকুশা এলাকায় বিভিন্ন মানি চেঞ্জার হাউজে খোঁজ নিলে এমন দাম বাড়ার তথ্য জানান সংশ্লিষ্টরা। 

[৩.১] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সংঘর্ষ, কারফিউ ও ইন্টারনেট বন্ধের প্রেক্ষাপটে চলতি মাসে জুলাইয়ে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে গেছে। তাছাড়া আন্দোলনে নিহত ব্যক্তির কথা বলে প্রতিবাদ হিসেবে দেশে বৈধপথে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স না পাঠানোর বিষয়ে ক্যাম্পেইন করছেন অনেক প্রবাসী। 

[৩.২] ফলে একদিনের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ২ থেকে ৩ টাকা ২০ পয়সা। এখন এক ডলার কিনতে গ্রাহকদের গুনতে হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা ২০ পয়সা। গত রোববার ও সোমবার খোলাবাজারে ডলার ১২১ থেকে ১২২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

[৪] রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলে ডলার কিনতে আসা মাহবুব মুসা জানান, থাইল্যান্ড যাবো। খরচের জন্য নগদ ডলার কিনতে মানি চেঞ্জারে এসেছি। কয়েকটিতে ঘুরলাম প্রায় সবাই ডলারের দাম ১২৪ টাকা ২০ পয়সা করে চাচ্ছে। এরমধ্যে একটিতে ১২৪ টাকায় পেয়ে এই রেটেই কিনলাম। শুনলাম, দাম আরো নাকি বড়বে।

[৫] মানি চেঞ্জার হাউজের কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, কোটা আন্দোলন ও ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় হঠাৎ করেই ডলারের দাম বেড়ে গেছে। এখন খোলাবাজারে আমাদেরই ডলার কিনতে হচ্ছে ১২৩ টাকা ৫০ পয়সায়। সেক্ষেত্রে আমাদের বিক্রি করতে হচ্ছে ১২৪ টাকা থেকে ১২৪ টাকা ২০ পয়সা দরে।   

[৬] সূত্র মতে, বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে স্থিতিশীলতা ফেরাতে গত ৮ মে ‘ক্রলিং পেগ’ চালুর পর ডলারের দর এক লাফে ৭ টাকা বেড়ে মধ্যবর্তী দর ১১৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর এক মাসের মধ্যেই তা আবার ১১৮ টাকা হয়। এ দামে কিছুদিন স্থিতিশীল থাকলেও আবার তা হঠাৎ করে বাড়তে থাকে।  

[৭] এদিকে রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বেশি দামে রেমিট্যান্স আনতে মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশের পর বেশ কয়েকটি ব্যাংক রেমিট্যান্স কেনার রেট ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১১৮ টাকা ৭০ পয়সা অফার করে। 

[৮] নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেসরকারি ব্যাংকের ঊর্দ্ধতন এক কর্মকর্তা জানান, গত এক সপ্তাহ দেশে ইন্টারনেট ছিল না। ব্যাংকগুলোর কার্যক্রম হয়নি। সারা বিশ্বের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল। এতে রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা সম্ভব না হওয়ায় ডলার রেট বাড়িয়ে দিয়ে রেমিট্যান্স সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী

এমএএ/এসসি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়