মনজুর এ আজিজ: [২.১] কোটা আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) বনানীর প্রধান কার্যালয় ও মিরপুর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
[২.২] এতে ১২ দিন ধরে সংস্থাটির সার্ভার অচল রয়েছে। ফলে নতুন গাড়ির নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় গাড়ি ব্যবসায়ীদের এই ক্ষতি হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
[৩] গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশনড ভেহিক্যালস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বারভিডা) জানিয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি কেনায় এখন ঋণ দিচ্ছে না। গাড়ি বিক্রিও আশঙ্কাজনকভাবে কমে গেছে। যত দিন যাচ্ছে এই ক্ষতি তত বাড়ছে। এ কারণে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সনাতন (ম্যানুয়াল) পদ্ধতিতে নিবন্ধন চালুর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিআরটিএতে মোটরযান নিবন্ধনের প্রক্রিয়াটি পুরোপুরি অনলাইননির্ভর। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, তথ্য সংশোধন, মোটরযানের মালিকানা বদল, ইঞ্জিন পরিবর্তন, মোটরযানের ফিটনেস সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও রুট পারমিট প্রদানের মতো কাজগুলোও অনলাইনে করা হয়। এখন এসব কাজ বন্ধ।
[৫] এ প্রসঙ্গে বারভিডা সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ ডন গণমাধ্যমকে বলেন, সহিংস পরিস্থিতির পর অন্য সব ব্যবসা চালু হলেও আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। বিআরটিএ সার্ভার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় দৈনন্দিন সেবাগুলো পাচ্ছি না। সার্ভার কবে চালু হবে, তা-ও নিশ্চিত করে সংস্থাটি জানাতে পারেনি। নিবন্ধন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি বিক্রি কমে গেছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
[৬] বিআরটিএর হিসাবে, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে সংস্থাটি প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার যানবাহনের নিবন্ধন দিয়েছে। গত বছর নিবন্ধনের এ সংখ্যা ছিল প্রায় ৩ লাখ ৬১ হাজার। গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিআরটিএতে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১২০টি ব্যক্তিগত গাড়ির নিবন্ধন হয়। কিন্তু প্রায় ১২ দিন ধরে এ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। বারভিডা বলেছে, গাড়ির নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় প্রতিদিন অন্তত ৩০-৩৫ কোটি টাকা করে লোকসান হচ্ছে।
[৭] বিআরটিএ জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও সহিংসতায় সংস্থাটির বনানীর প্রধান কার্যালয়ের প্রায় ১২১ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বিআরটিএর এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আগুন সার্ভার রুমের মধ্যে প্রবেশ করেনি, তবে সেখানে আগুনের অনেক তাপ গেছে। সার্ভারের বিদ্যুৎ-সংযোগও পুড়ে গেছে। ফলে নিবন্ধনসহ প্রায় সব ধরনের সেবা বন্ধ রয়েছে।
এমএএ/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :