শাহাদাত হোসেন, রাউজান: [২] চট্টগ্রামের রাউজানে বাম্পার ফলন হয়েছে আখের। খরচ কম হাওয়ায় কৃষকেরা বিস্তীর্ণ ফসলি জমিতে আখ চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। ফলে অনেকে ঝুঁকে পড়ছেন আখ চাষে।
[৩] সরেজমিনে দেখা গেছে,উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে আখ। কেউ কেউ আখ ক্ষেত থেকে আখ কেটে আঁটি বেধে হাট-বাজার নিয়ে বিক্রি করছে। আবার ক্ষেত থেকে পাইকাররা এসে আখ কিনে নিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন হাট-বাজার বিক্রি করছে। আখের ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
[৪] কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়ন, ডাবুয়া ইউনিয়ন, চিকদাইর, গহিরা, কদলপুর, নোয়াজিষপুর, রাউজান ইউনিয়ন, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়ন ও পৌর এলাকাসহ ৩০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে।
[৫] নোয়াজিষপুর ইউনিয়নের কৃষক গোবিন্দ বলেন, প্রতি বছর ৪০-৬০ শতক জমিতে আখ চাষ করে থাকি। খরচ কম হওয়ায় প্রতি বছর আখ চাষ করি। এবার আখ চাষে খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ফলন হয়েছে ভালো। খরচ বাদ দিয়ে আখ ক্ষেত থেকে এক লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো।
[৬] চিকদাইর ইউনিয়নের কৃষক তছলিম উদ্দিন বলেন ,৪০ শতক জমিতে আখ চাষ করে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। এই ক্ষেত থেকে এক লাখ টাকার আখ বিক্রি করতে পারবো বলে আশ করছি। ফলন ভালো হওয়ায় হাট-বাজারে আখের চড়া দাম পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে বড় আকারের প্রতিটি আখ ৬০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। ছোট সাইজের আখ বিক্রি করা হচ্ছে ২০-৪০ টাকায়।
[৭] রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির বলেন, এই উপজেলায় কৃষকেরা আখ চাষ করে যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি বাড়ছে আখ চাষিও।
[৮] উল্লেখ্য, গত বছরও এই উপজেলায় ৩০ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছিল। এবছরও ৩০ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের আখ চাষ হয়েছে। হেক্টর প্রতি হেক্টর জমিতে আখের উৎপাদন হয়েছে ১১০ টন করে ৩ হাজার ৩শ’ মেট্রিক টন আখ। প্রতি হেক্টরে খরচ বাদ দিয়ে এক থেকে দুই লাখ টাকা লাভবান হয়েছে কৃষকরা।
প্রতিনিধি/একে
আপনার মতামত লিখুন :