মনজুর এ আজিজ: [২.১] প্রতিদিন এ ক্ষতির পরিমাণ বাড়ছে বলে জানিয়েছে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ফিকি)।
[২.২] রোববার প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের সঙ্গে মতবিমিনয়কালে এ পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন ফিকি সভাপতি জাভেদ আক্তার।
[৩.১] ফিকি নেতারা বলেন, দেশে সীমিত অনলাইন এবং ফিজিক্যাল সংযোগের সঙ্গে ধীরে ধীরে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সম্পূর্ণ কার্যক্রম ফিরে না আসায় মাত্র ৫০ শতাংশ কাজে লাগাতে পারছি। শিল্পের সম্পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সম্পূর্ণ ব্রডব্যান্ড সংযোগ এবং যাতায়াত সুবিধা প্রয়োজন।
[৩.২] এছাড়া ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলো বন্দর থেকে পণ্য খালাস এবং শাটডাউনের সময় কাজ করতে না পারায় অতিরিক্ত বিলম্ব শুল্ক নির্ধারণসহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
[৪] তারা বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্প, ব্যাংকিং, বিমা, লজিস্টিকস, অবকাঠামো, টেলিকম, ই-কমার্স, ফ্রিল্যান্সিং, রাইড-হেলিং, সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং স্যোশাল কমার্সের ওপর নির্ভরশীল অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি এবং আরও অনেক প্রতিষ্ঠান শাটডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিল্পের ওপর এ আর্থিক প্রভাব কয়েক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত যেতে পারে।
[৫] ফিকি নেতারা বলেন, বর্তমানে বিদ্যমান অনেক বিনিয়োগকারী নিয়মিত কার্যক্রম শুরু করতে চেয়েও অনিশ্চয়তা বোধ করছে। পণ্য খালাস, অপারেশন কার্যক্রম পরিচালনায় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ এবং অদক্ষতা ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে। যদি আমরা আমাদের বর্তমান বিনিয়োগকারীদের জন্য ব্যবসা সহজীকরণকে অগ্রাধিকার দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশকে বিবেচনায় রাখতে নিরুৎসাহিত হবে।
[৬] ফিকির সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- ব্রডব্যান্ড সংযোগস্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এফএমসিজি, লজিস্টিকস, হেলথ ইন্স্যুরেন্স, ব্যাংকিং, আইটি ও টেকনোলজি কোম্পানি, মোবাইল কোম্পানি, টেস্টিং ও ইন্সপেকশন কোম্পানি, এনার্জি ও পাওয়ার এবং ফিকির ২১টি সেক্টরের জন্য সম্পূর্ণ মোবাইল ডেটা কানেক্টিভিটি পুনরায় চালু করা প্রয়োজন।
[৭] বাংলাদেশে কর্মরত স্থানীয় এবং বিদেশি কর্মীদের মধ্যে বিশ্বস্ততা স্থাপনের জন্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষার ব্যাপারে পূর্ণ আস্থা ফিরিয়ে আনা গুরুত্বপূর্ণ। বাজার এবং চাহিদা তৈরিতে আরও স্বস্তি এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ানো। কারফিউ প্রত্যাহার এবং স্বাভাবিক কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা গুরুত্বপূর্ণ। বন্দর থেকে পণ্য খালাস এবং বাইরে শিপমেন্ট দ্রুত করা। ১৮ জুলাই থেকে খালাস না পাওয়া সমস্ত পণ্যের জন্য সবরকমের বিলম্ব শুল্ক মওকুফ করা।
[৮] পাশাপাশি নিয়মিত যেসব উপকরণ আমদানি করা হয়, সেগুলোর জন্য বাধ্যতামূলক ল্যাব টেস্টিং বাদ দেওয়া। চট্টগ্রাম বন্দরে বিএসটিআই পূর্ণ পরীক্ষার সুবিধা (মাইক্রোবায়োলজি পরীক্ষা) স্থাপন করা। ব্যাংক এবং কাস্টমস হাউস অপারেশন সময় সমন্বয় করা। বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর সমস্ত বকেয়া পরিশোধ এবং নিয়মিত করা জরুরি। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :