শিরোনাম
◈ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের সহযোদ্ধাদের হুমকি দিচ্ছে, বিভিন্ন জায়গায় খুনের ঘটনা ঘটাচ্ছে: আখতার হোসেন (ভিডিও) ◈ ভারতের সাম্ভালে মুসলিম সংসদ সদস্যকে বিদ্যুৎ চুরির জন্যে ২ কোটি টাকা জরিমানা ◈ কেউ যেন জাতির মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খেতে না পারে: মির্জা ফখরুল (ভিডিও) ◈ অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি অসন্তোষ, ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বিএনপি নেতারা ◈ পুলিশ ও জনগণ একে অপরের পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবে: সিটিটিসি প্রধান  ◈ বড়দিন উপলক্ষে নৌভ্রমণ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্রে ৩৮ জনের প্রাণহানি ◈ বিএনপি অফিসে আ.লীগের হামলা, আহত ১০ ◈ ২৫ ক্যাডারের নতুন সংগঠন ◈ চলতি মাসের ২১ দিনে এক টাকাও রেমিট্যান্স আসেনি যে ১০ ব্যাংকে ◈ আত্মসমর্পন করে আদালতে শেখ হাসিনার নামে আওয়ামী নেতাদের শ্লোগান (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৩২ বিকাল
আপডেট : ০৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১০:০০ রাত

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো: আটাব

মনজুর এ আজিজ: [২] কোটা সংস্কার অন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছয় দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যবসা হারিয়েছে ট্রাভেল এজেন্টগুলো। প্রায় ৪ হাজার ট্রাভেল এজেন্টের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ- আটাব বলছে, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিদিন অন্তত ১০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি, তারিখ পরিবর্তন ও হোটেল বুকিং বন্ধ থাকায় এই বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করতে পারেনি তারা।

[৩] পাশাপাশি ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা বন্ধ থাকায় ট্রাভেল এজেন্টরা বিভিন্ন করপোরেট ও নিয়মিত গ্রাহকদের কাছ থেকে টিকিট বিক্রির টাকাও আদায় করতে পারেনি। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বিধি অনুসারে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থও পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।

[৪] জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে। ফলে ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়ে।

[৫] এ প্রসঙ্গে আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, ইন্টারনেট না থাকায় বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা যেমন আমরা পরিশোধ করতে পারিনি, তেমনি ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকায় আমরাও বিল আদায় করতে পারিনি। প্রতিদিন অন্তত ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছিল আমাদের। গত ছয়দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বিক্রি নাই হয়ে গেছে।

[৬] এদিকে ১৫ দিন অন্তর আইএটিএর মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করে ট্রাভেল এজেন্টরা। আইএটিএর পরবর্তী অর্থ প্রদানের তারিখ ৩১ জুলাই। এখনও আমরা পুরোপুরি ইন্টারনেট পাচ্ছি না। আমরা ডেটলাইনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে ডিফল্টার হতে হবে এবং দেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা ব্যাহত হবে।

[৭] তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আমরা গত কয়েকদিনে কোনো এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমরা যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগাযোগ করি, সেটি জিডিএস সফটওয়্যার। ইন্টারনেট না থাকলে এই সফটওয়্যারে যোগাযোগ করা যায় না। আবার সরাসরি ফোন কলেও বিদেশে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এমএএ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়