শিরোনাম
◈ অনলাইনে আবেদন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়া ই-পাসপোর্ট পাওয়ার উপায় ◈ ফরিদপুরে দুইপক্ষের সংঘর্ষে নারী-পুরুষসহ আহত ৫ ◈ বন্দর থেকে নিধারিত সময়ে পণ্য না নিলে তিনগুণ জরিমানা: নৌ উপদেষ্টা ◈ পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্টের! ◈ বাংলাদেশিও সহ ১০ অভিবাসীকে গুয়ান্তানামো বে কারাগারে পাঠানোর সিদ্ধান্ত, আদালতে মামলা দায়ের ◈ এবার অভিনেত্রী শ্রদ্ধা কাপুর মুঠোফোন থেকে প্রেমিকের ঘনিষ্ঠ ছবি ফাঁস ◈ সেনাপ্রধানের সতর্কবার্তা নিয়ে যা বললেন আন্দালিব রহমান পার্থ (ভিডিও) ◈ নির্বাহী অফিসারের রুমে ৪ জামায়াত নেতাকে পেটালেন বিএনপি নেতারা ◈ পুরোনো সংবিধান রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয়: নাহিদ ইসলাম ◈ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের অতিরিক্ত সুবিধা পাওয়া নিয়ে ভিভ রিচার্ডসের প্রশ্ন

প্রকাশিত : ২৮ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৩২ বিকাল
আপডেট : ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ সকাল

প্রতিবেদক : এল আর বাদল

ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ৬০০ কোটি টাকার ব্যবসা হারিয়েছে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো: আটাব

মনজুর এ আজিজ: [২] কোটা সংস্কার অন্দোলন ঘিরে সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ছয় দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা ব্যবসা হারিয়েছে ট্রাভেল এজেন্টগুলো। প্রায় ৪ হাজার ট্রাভেল এজেন্টের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ- আটাব বলছে, ট্রাভেল এজেন্টদের প্রতিদিন অন্তত ১০০ কোটি টাকার বাজার রয়েছে। গত ১৮ জুলাই থেকে সব ধরনের ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি, তারিখ পরিবর্তন ও হোটেল বুকিং বন্ধ থাকায় এই বিপুল পরিমাণ ব্যবসা করতে পারেনি তারা।

[৩] পাশাপাশি ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক পরিষেবা বন্ধ থাকায় ট্রাভেল এজেন্টরা বিভিন্ন করপোরেট ও নিয়মিত গ্রাহকদের কাছ থেকে টিকিট বিক্রির টাকাও আদায় করতে পারেনি। অন্যদিকে ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইএটিএ) বিধি অনুসারে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা অর্থও পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।

[৪] জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে দেশজুড়ে সংঘাত-সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লে গত ১৭ জুলাই রাতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোবাইলে আর্থিক লেনদেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের প্রিপেইড কার্ড রিচার্জ নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা। ইন্টারনেট না থাকায় স্থবির হয়ে পড়ে ই-কমার্স, পোশাক খাতসহ বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য, বন্ধ থাকে বন্দরের কার্যক্রম। ইন্টারনেটভিত্তিক সব ধরনের সংবাদ সেবাও অচল হয়ে পড়ে। ফলে ট্রাভেল এজেন্ট ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়ে।

[৫] এ প্রসঙ্গে আটাবের সভাপতি আব্দুস সালাম আরেফ বলেন, ইন্টারনেট না থাকায় বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর পাওনা যেমন আমরা পরিশোধ করতে পারিনি, তেমনি ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকায় আমরাও বিল আদায় করতে পারিনি। প্রতিদিন অন্তত ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছিল আমাদের। গত ছয়দিনে প্রায় ৬০০ কোটি টাকার বিক্রি নাই হয়ে গেছে।

[৬] এদিকে ১৫ দিন অন্তর আইএটিএর মাধ্যমে পাওনা পরিশোধ করে ট্রাভেল এজেন্টরা। আইএটিএর পরবর্তী অর্থ প্রদানের তারিখ ৩১ জুলাই। এখনও আমরা পুরোপুরি ইন্টারনেট পাচ্ছি না। আমরা ডেটলাইনের মধ্যে অর্থ পরিশোধ করতে না পারলে ডিফল্টার হতে হবে এবং দেশে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা ব্যাহত হবে।

[৭] তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় আমরা গত কয়েকদিনে কোনো এয়ারলাইন্সের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি। আমরা যে সফটওয়্যারের মাধ্যমে যোগাযোগ করি, সেটি জিডিএস সফটওয়্যার। ইন্টারনেট না থাকলে এই সফটওয়্যারে যোগাযোগ করা যায় না। আবার সরাসরি ফোন কলেও বিদেশে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়েছি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান

এমএএ/কে/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়