মনজুর এ আজিজ: [২] বিগত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। সেখানে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩ লাখ ৭১ হাজার ৮৪২ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সে হিসেবে লক্ষ্যের চেয়ে রাজস্ব ঘাটতি পড়েছে ৩৮ হাজার ১৫৭ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। তবে আগের বছরের চেয়ে ১২.১৭ শতাংশ বেশি (প্রবৃদ্ধি) হয়েছে। রাজস্ব বোর্ড সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
[৩] জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরিসংখ্যান বলছে, বিগত অর্থবছরে আয়কর আদায় হয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ২৫ কোটি ২ লাখ টাকা, আমদানি পর্যায় থেকে এক লাখ ৩৭৮ কোটি ১৭ লাখ টাকা এবং ভ্যাট আদায় হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৩৯ কোটি ৪ লাখ টাকা। লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে আয়কর আদায়ে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি, ভ্যাটে ১১ দশমিক ৯৭ শতাংশ এবং আমদানি পর্যায়ে ৮ দশমিক ২৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
[৪] বিগত অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। আর মূল বাজেটে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত বাজেটে ২০ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়। বিগত বছরে রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে ৯১ শতাংশ। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ঠিক করা আছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৯ দশমিক ৭ শতাংশ।
[৫] এ প্রসঙ্গে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, গত অর্থবছরের শুরু থেকেই আমদানিকে নিরুৎসাহিত করা হয়েছিল। এলসি খোলার ক্ষেত্রে কড়াকড়ি ছিল। সে কারণে বড় একটা নেতিবাচক প্রভাব ছিল পুরো বছর জুড়ে। তারপরও সামগ্রিক রাজস্ব সংগ্রহের প্রবৃদ্ধি সন্তোষজনক। তবে শেষ পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি অর্থবছরে যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে সেটা আরও বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে হচ্ছে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :