পণ্য সংকটে বিপর্যস্ত রাজধানীর পাইকারি বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। রোববার (২১ জুলাই) যে পরিমাণ পণ্য বাজারে এসেছে, সোমবার (২২ জুলাই) তার থেকে তিনগুণ বেশি। তাই স্বাভাবিকভাবে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলুর দাম কমতে শুরু করেছে। তবে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে পামওয়েলের দাম। যদিও সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র খুচরা বাজারে বলে জানান সংশ্লিষ্টারা। সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে এমন চিত্রই চোখে পড়ে। সূত্র : সময়টিভি
বিক্রেতারা জানান, গতকালের চেয়ে সোমবার বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম কমেছে। সরবরাহ বাড়ায় কারওয়ান বাজারে দামে প্রায় ২০-৩০ টাকার পার্থক্য রয়েছে। রোববার চিচিঙ্গার কেজি ছিল ৩৫-৩৬ টাকা; আজ তা কমে ২৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, বেগুনের দাম ছিল ১০০ টাকা, আজ সেটা ৭০-৮০ টাকা, এক রাতের ব্যবধানে কমেছে কাঁচামরিচের দামও। আগে ৩৪০ বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজিতে।
বিক্রেতারা আরও জানান, সোমবার বাজারে ৪০-৫০ গাড়ি পণ্য আসে; যা রোববার আসে ৫-৬ গাড়ি। এ কারণে গতকাল পণ্যের দাম বেশি ছিল।
এদিকে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সব ধরনের পণ্য আছে। তবে দাম একটু বেশি। ঝিঙ্গা কেজিতে ১০০, করলা ২০০, পটল ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলমান কাউফিউয়ের কারণে বাজারে ক্রেতারা কম আসছেন।
এ দিকে পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধিতে স্বস্তি প্রকাশ করে আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতারা জানান, মোকামে ৩-৪ দিনে যা জমেছিল আজ সব মাল কারওয়ান বাজারে ঢুকেছে। সোমবার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৪ টাকা কেজিতে; গতকাল তা বিক্রি হয়েছে ১১৮-১২০ টাকা কেজিতে।
অন্যদিকে মাছ বাজারে সরবরাহ বেড়েছে তবে স্বস্তি ফেরেনি বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তারা বলেন, ‘ রোববারের চেয়ে সোমবার বাজারে মাছ বেশি দেখা গেছে। রুই-কাতল মাছের দাম বেড়েছে। অন্যান্য মাছের দামও ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে সরবরাহ বাড়ায় মুরগির দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
ক্রেতারা জানান, বাজারে উপস্থিতি খুব কম। চলমান কারফিউয়ের কারণে পণ্য সংকটের অজুহাতে দাম বেড়েছে সব ধরনের পণ্যের। তবে সবচেয়ে অস্বাভাবিকভাবে দাম বেড়েছে পামওয়েলের। বাজারে বেচাকেনাও কম, বাজারের অবস্থাও বেশি ভালো না।
ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। আগে পামওয়েল তেলের ড্রাম বিক্রি হত ২৫ হাজার টাকায়; এখন সেটা ২৮ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়। দাম তিন হাজার টাকা বেড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :