শিরোনাম
◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত ◈ লন্ডন-যুক্তরাষ্ট্রে ৩০০ কোটি টাকা পাচার : হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২৪, ০২:০১ দুপুর
আপডেট : ২৭ নভেম্বর, ২০২৪, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

চলমান সহিংসতা ক্ষতির মুখে রফতানি আয়, যা বললেন অর্থনীতিবিদরা

চলমান সহিংসতা ও কারফিউর মতো জরুরি অবস্থা দীর্ঘ হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এমনই শঙ্কার কথা জানাচ্ছে এ শিল্পের দুই শীর্ষ সংগঠন। প্রয়োজনে করোনা সংকট মোকাবিলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন চালু রাখার তাগাদা দিয়েছে সংগঠন দুটি। এদিকে, দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়ার আগেই আমদানি-রফতানি প্রক্রিয়া সচল রাখতে সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা। সূত্র : সময়টিভি

চলমান সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে একদিকে সারা দেশে চলছে অনির্দিষ্টকালের কারফিউ। অন্যদিকে, সরকারের নির্বাহী ক্ষমতায় ঘোষণা করা রোববার থেকে দুদিনের সাধারণ ছুটির আওতায় বন্ধ রাখা হয়েছে তৈরি পোশাকসহ সব ধরনের কলকারখানা।

এমন জরুরি অবস্থা দীর্ঘ হলে বড় ধরনের মাশুল গোনার শঙ্কায় পড়েছেন তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা। কারণ দ্রুত পরিবর্তনশীল ফ্যাশনের যুগে পণ্য সরবরাহও করতে হয় অল্প সময়ের মধ্যে। অথচ কারফিউ চলায় পোশাক শ্রমিকরা আসতে পারছেন না কারখানায়।

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) সময় সংবাদকে বলেন, যত দ্রুত সম্ভব পোশাক শিল্প চালু করতে তিনি সরকার ও সবার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন।

বাংলাদেশ নিট পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিকেএমইএ) সহ-সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘কারফিউর কারণে আমাদের শ্রমিকদের চলাচলের কোনো অবস্থা নেই। শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখছি। কিন্তু খুব বেশি সময় এভাবে বন্ধ রাখা সম্ভব হবে না। কারণ আমাদের শিডিউলের একটা চাপ থাকে।’
 
পরিস্থিতি বুঝে প্রয়োজন হলে করোনার মতো সংকট মোকাবেলার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আমদানি-রফতানির চাকা সচল রাখতে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নেয়ার দাবি এ দুই সংগঠনেরই।
 
এ বিষয়ে ফজলে শামীম এহসান বলেন, ‘কোভিডের সময় আমাদের এখানে ওই রকমভাবে বন্ধ রাখা হয়নি। ফলে অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা ভালো করেছিলাম। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলছি, আমাদের খুব বেশি বন্ধ রাখার সুযোগ নেই। কারফিউ কনটিনিউ হলে এক থেকে দুদিনের মধ্যেই আমাদেরকে কারফিউর আওতামুক্ত করা উচিত।’ 

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষতি হওয়ার পর্যায়ে পৌঁছে গেছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের কর্মসংস্থানও। সব মিলিয়ে সারা দেশে আতঙ্কের মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যা আমরা চাই না। এ অবস্থায় দেশের অর্থনীতির স্বার্থে পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান হওয়া উচিত।’
 
একই সঙ্গে দ্রুত ইন্টারনেট সেবা চালু করে বিদেশি ক্রেতাদের সঙ্গে হালনাগাদ তথ্য আদান-প্রদান করে তাদের শঙ্কা দূর করারও তাগিদ দিচ্ছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়