শিরোনাম
◈ শুধু বাণিজ্য দিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করলে ভুল হব: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ◈ ভারতের তৈরি পোশাক বাজারে বাংলাদেশের আধিপত্য ক্রমেই সুসংহত হচ্ছে ◈ ‘শতাব্দীসেরা’ জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাবে বাংলাদেশের উপকূল: এমআইটির গবেষণা ◈ বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কে নতুন মোড় ◈ মার্চ ফর গাজা: সোহরাওয়ার্দীতে আসতে শুরু করেছে জনতা (ভিডিও) ◈ ২৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শুরু হচ্ছে মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের টার্মিনাল ◈ মডেল মেঘনা আলমকে আটকের দিনই ঢাকা ছেড়েছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত ◈ আমরা সকলেই একমত দেশে রাষ্ট্র সংস্কার জরুরি: আলী রীয়াজ ◈ মডেল মেঘনা ‘আর্থিক সুবিধা নেওয়ার জন্য’ তাঁর সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা করছেন, সৌদি রাষ্ট্রদূতের অভিযোগ ◈ রোববার যেসব জেলায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে

প্রকাশিত : ১৮ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০২ রাত
আপডেট : ০৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাংলাদেশে রেমিট্যান্স প্রেরণের শীর্ষে আমিরাত: সৌদি আরব নেমে এলো ৪ নম্বরে

সালেহ ইমরান: [২] বাংলাদেশে বৈদেশিক আয় বা রেমিট্যান্স প্রেরণকারী দেশের তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ রেমিট্যান্স প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। 

[৩] সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমিরাত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬৪ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরে ছিলো ৩০৩ কোটি ডলার। এক বছরে দেশটি থেকে প্রবাসী আয় বেড়েছে ১৬১ কোটি ডলার ৫৩ শতাংশ। গতবছর দেশটি ছিলো তৃতীয় অবস্থানে। সৌদি আরব থেকে পাঠানো রেমিট্যান্স ৩৭৭ কোটি ডলার থেকে ২৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৭৪ কোটি ডলার। (বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ১২-০৭-২০২৪) 

[৪] আমিরাতের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৯৬ কোটি ডলার আর তৃতীয় অবস্থানে যুক্তরাজ্য থেকে ২৭৯ কোটি ডলার।

[৫] আমিরাত থেকে প্রবাসী আয় এতো বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনাটিকে আশ্চর্যজনক বলে মনে করছেন ব্যাংকখাত সংশ্লিষ্টরা। কারণ এই এক বছরে দেশটিতে বাংলাদেশি শ্রমিকের সংখ্যা তেমন বাড়েনি, বরং কমেছে।  আর তাদের বেতন-ভাতাও যে অস্বাভাবিক বেড়েছে তাও নয়। কাজেই এর পেছনে অন্য কারণ থাকতে পারে বলে মনে করছেন তারা।  (ডেইলি স্টার ১২-০৭-২০২৪) 

[৬]  বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে শ্রমিক গেছে এক লাখের কিছু বেশি। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়ায় ৯৮ হাজারে। আর চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত দেশটিতে গেছে ৩৩ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি। 

[৭] গত ২০ বছরে বাংলাদেশ থেকে আমিরাতে জনশক্তি রপ্তানি হয়েছে সাড়ে ২১ লাখ। একই সময়ে সৌদি আরবে গেছে প্রায় ৩৯ লাখ শ্রমিক। সেই হিসেবে সৌদি আরব থেকে আমিরাতের প্রায় দ্বিগুণ রেমিট্যান্স আসার কথা। কিন্তু ঘটেছে উল্টো ঘটনা। 

[৮] এ বিষয়ে শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের নতুন গন্তব্য হয়ে উঠেছে দুবাই। পাচারকৃত সেই অর্থের একটা অংশ হয়তো প্রণোদনা পেতে দেশে ফেরৎ আসছে। প্রণোদনা পাওয়ার পর আবার সেই অর্থ অবৈধ পথে চলে যাচ্ছে। (ঢাকা ট্রিবিউন ১৩-০৭-২০২৪) 

[৯]  গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে গত কয়েক বছওে যে পরিমাণ জনশক্তি গেছে তার সঙ্গে এই প্রবাসী আয় সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আমাদের মনে হয় এটা দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ প্রণোদনার সুবিধা পেতে দেশে পাঠানো হচ্ছে। প্রণোদনা নিয়ে সেই অর্থ আবার বাইরে চলে যাচ্ছে কিনা সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। (প্রথম আলো ১৩-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব

এসবি২

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়