সোহেল রহমান: [২] জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংক-এর রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
[৩] অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, অতি সম্প্রতি রপ্তানির উপাত্ত সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা কর্তৃক উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হচ্ছে। ফলে আশা করা যায় যে, এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)-এর প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য থাকবে না।
[৪] মন্ত্রণালয় বলেছে, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃত পক্ষে দেশে আসে, বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ দেশের রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। জিডিপি হিসাব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বাংলাদেশ ব্যাংকের এ হিসাবকেই বিবেচনায় নেয়। ফলে সম্প্রতি পত্র-পত্রিকায় রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশংকা করা হয়েছেÑতা সঠিক নয়।
[৫] সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এছাড়া লেনদেনে ভারসাম্য (ব্যালেন্স অব পেমেন্ট)-এর চলতি হিসাব এবং আর্থিক হিসাবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট-এর সার্বিক ভারসাম্যে কোন পরিবর্তন আসবে না। ইতোমধ্যে সকলের অবগতির জন্য পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।
[৬] সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রদত্ত নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটর-এর মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেন্টিভ নিরূপণের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং সরকার কর্তৃক রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে Ñতা সঠিক রয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :