মনজুর এ আজিজ: [২] ব্যবসা-বাণিজ্যে কমপ্লায়েন্সর উন্নয়নে দেশের কর ব্যবস্থাকে পুর্ণাঙ্গরূপে ঢেলে সাজানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে ব্যবসায় পরিচালন ব্যয় হ্রাসে পাবে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনাও সহজ হবে। বিশেষকরে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানসমূহের মান সম্পন্ন হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে কর নিরূপন করা প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। পাশাপাশি রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় কমপ্লায়েন্স মেনে চলা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানসমূহকে পুরষ্কৃত করারও আহ্বান জানান তিনি।
[৩] চলতি বাজেটে শুল্ক, ভ্যাট এবং আয়কর আইনের পরিবর্তন সম্পর্কে শনিবার ডিসিসিআই আয়োজিত ‘শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) এবং আয়কর ব্যবস্থাপনা’ বিষয়ক ওয়ার্কশপে এ আহবান জানান তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালক কামরুল হাসান তুহিন, এম মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
[৪] ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, রাজস্ব ব্যবস্থাপনার অটোমেশনের মাধ্যমে বিদ্যমান বৈষম্য ও ঘাটতি নিরসন করা সম্ভব। একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক রাজস্ব কাঠামো করজাল সম্প্রসারণে সহায়তা করবে, পাশাপাশি করপ্রদানকারীদের হয়রানিমূলক সেবা নিশ্চিত করবে। বিদ্যমান ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক আইনে বেশকিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, এগুলো ব্যবসায়িক কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
[৫] মূল প্রবন্ধে এনবিআর’র কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, নতুন ভ্যাট আইনে মৌলিক কোন পরিবর্তন আনা হয়নি, তবে এনবিআরের ওয়ার্কিং প্রসিডিরের ক্ষেত্রে দুটো পরিবর্তন আনয়ন করা হয়েছে। এতে সার্বিকভাবে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধির ফলে ভ্যাট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ সকলশ্রেণির করদাতার উপর চাপ বাড়বে।
[৬] আয়কর বিষয়ক মূলপ্রবন্ধে স্নেহাশীষ বড়ুয়া, এফসিএ বলেন, চলতি অর্থবছরের এনবিআরের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের চেয়ে প্রায় ১৭শতাংশ বেশি। দেশের শিল্পায়নের পাশাপাশি অর্থনীতিকে বেগবান করতে আমদানি শুল্ক কমাতে হবে, যার প্রভাব পড়বে আয়কর ও ভ্যাটের উপর।
[৭] শুল্ক বিষয়ক মূল প্রবন্ধে এম বি এম লুৎফুল হাদি, এফসিএ বলেন, ব্যবসা পরিচালন ব্যয় হ্রাসের লক্ষ্যে নতুন শুল্ক আইন প্রবর্তন করা হয়েছে এবং আইনটি যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
আপনার মতামত লিখুন :