সালেহ ইমরান: [২] বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বুরোর (বিবিএস) তথ্যের ওপর ভিত্তি করে বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসেবে, বাংলাদেশে ২০২৩ অর্থবছরে ২৭ লাখ টন আম উৎপাদন হয়েছে। আগের অর্থবছরে এই উৎপাদন ছিলো ২৪ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টন। এ বছর আমের উৎপাদন ২৫ থেকে ২৭ লাখ টনের মধ্যে থাকবে বলে জানিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
[৩] কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের রপ্তানিযোগ্য আম উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, এফএও’র হিসেবে আম উৎপাদনে বাংলাদেশের আগে থাকা দেশগুলো হলো ভারত, চীন, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, মেক্সিকো, ব্রাজিল ও নাইজেরিয়া। শীর্ষ উৎপাদনকারী ভারতে প্রতিবছর ১ কোটি ৫১ লাখ ৮০ হাজার টন আম উৎপাদন হয়।
[৪] রপ্তানিতে এক নম্বরে রয়েছে মেক্সিকো। প্রথম দশে থাকা অপর দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ব্রাজিল, পেরু, নেদারল্যান্ডস, ভারত, পাকিস্তান, ভিয়েতনাম, স্পেন ও ইকুয়েডর। গত অর্থবছরে মেক্সিকো রপ্তানি করেছে ৪ লাখ ২১ হাজার ৬৩৬ টন আম। ১০ নম্বরে থাকা ইকুয়েডর রপ্তানি করেছে ৬০ হাজার ১০২ টন। সেখানে বাংলাদেশ রপ্তানি করেছে মাত্র ১ হাজার ৭৫৭ টন। তবে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে রপ্তানি হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টন, যা গতবছরের একই সময়ের চেয়ে ১ হাজার টন কম। (বিডিনিউজ ০৬-০৭-২০২৪)
[৫] রপ্তানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গুড এগ্রিকালচারাল প্র্যাকটিস’ (গ্যাপ) মানদণ্ডের অনুপস্থিতির কারণে আম রপ্তানিতে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। গ্যাপ না মেনে উৎপাদনের কারণে অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশের আম নিতে চায় না। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য, জাপান, রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ বাংলাদেশ থেকে আম আমদানির আগ্রহ দেখালেও গ্যাপ মানদণ্ডের কারণে রপ্তানি করা যাচ্ছে না। এছাড়া বাংলাদেশের আমের প্যাকেজিং ও ব্রান্ডিং নিয়েও সমস্যাও রয়েছে। (দেশ রূপান্তর ০৬-০৭-২০২৪)
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :