সালেহ ইমরান: [২] খেলাপি ঋণে জর্জরিত ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ৭৩ হাজার ৫৬০ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণের ৩২ শতাংশ অর্থাৎ ২৩ হাজার ২০৮ কোটি ৭০ লাখ টাকাই খেলাপি হয়ে গেছে।
[৩] আর্থিক বিশেষজ্ঞ ও খাত সংশ্লিষ্টরা ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর এই বিপুল খেলাপি ঋণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দুর্বল তদারকিকে দায়ী করেছেন। (ডেইলি স্টার ১১-০৭-২০২৪)
[৪] বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলএফসিএ) ভাইস চেয়ারম্যান ও অ্যালায়েন্স ফাইন্যান্সের প্রধান নির্বাহী কান্তি কুমার সাহা বলেন, কয়েক বছর আগে এ খাতে বড় বড় কেলেঙ্কারি ও অনিয়ম হওয়ায় খেলাপি ঋণ অনেক বেড়ে গেছে।
[৫] এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংকের (বর্তমান গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক) সাবেক এমডি পিকে হালদার চারটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্তত সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর ফলে পিপলস লিজিং, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, এফএএস ফাইন্যান্স ও বিআইএফসি নামের চারটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এখন রুগ্ন প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। তবে গত ২-৩ বছরে যে ঋণ বিতরণ হয়েছে তা নিয়মিত। (বণিক বার্তা ১১-০৭-২০২৪)
[৬] বিএলএফসিএ’র চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার ভূঁইয়া বলেন, শুধু আর্থিক প্রতিষ্ঠান নয়, পুরো অর্থনীতিই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে। এ কারণে খেলাপি ঋণ এতো বেড়েছে। এছাড়া ২০২২ সালে ঋণ পরিশোধের জন্য মহামারীর সময় দেয়া বিশেষ সুবিধা প্রত্যাহার করে নেওয়ায় খেলাপি ঋণ বেড়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কড়া তদারকি থাকলে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যেতো। (বিডিনিউজ ১১-০৭-২০২৪)
[৭] এদিকে আস্থার সংকটের কারণে জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত ৪৫ হাজার ৩০৪ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। এর আগের প্রান্তিকে যা ছিলো ৪৫ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকা। (আজকের পত্রিকা ১১-০৭-২০২৪)। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :