তৌহিদুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: [২] ফলের রাজ্য খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী উপজেলা বিজয়নগরে এবার মসলা জাতীয় ফসল আদার চাষ হয়েছে। লিচু ,কাঁঠাল , মাল্টা ,কমলা বাগানের ফাঁকা ছায়াযুক্ত জায়গার পাশাপাশি বাড়ির আঙ্গিনার পরিত্যাক্ত জায়গাকেই বেছে নেয়া হয়েছে আদা চাষের জন্য। বাণিজ্যিক ভাবে জেলায় এবারই প্রথম আদার চাষ হচ্ছে ।
[৩] কৃষি বিভাগ জানায়, জেলায় ১৩৪ হেঃ জমিতে আদার চাষ হয়েছে, চাষাবাদ সম্প্রসারণে কৃষকদের সার বীজ সহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেয়া হয়েছে । ফ্লাড রিকনষ্ট্রাকশন এসিসটেন্স প্রজেক্ট (ফ্লিপ) প্রকল্পের আওতায় আদা চাষের জন্য বান্দরবানের রোমা উপজেলা থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া চলতি মওসুমে জেলার কসবা, আখাউড়া সহ বিভিন্ন উপজেলায় আদার চাষ হলেও সীমান্তবর্তী বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, পাহারপুর, হরষপুর ও সিঙ্গারবিলে সবচেয়ে বেশী আবাদ হয়েছে। জেলায় ২০ হাজার বস্তায় আদার চাষ হয়েছে যার অর্ধেক বিজয়নগরে। নতুন এ পদ্ধতিতে।
[৪] কৃষক গণি মিয়া জানান, পরিত্যাক্ত জায়গা, বাসা-বাড়ির আঙ্গিনা, ফলবাগানের মাঝামাঝি জায়গায় এর চাষ হচ্ছে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চাষাবাদের পাশাপাশি বস্তা পদ্ধতিও চাষ হচ্ছে। স্বল্প পূঁজিতে অধিক লাভের আশায় অনেকেই আদা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। প্রতি বস্তায় আদা চাষ করতে খরচ হয় ৫০/৬০ টাকা। আদা পাওয়া যায় ১ থেকে দেড় কেজি।
[৫] বিজয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: সাব্বির আহমেদ বলেন, ফল বাগানের ছায়াযুক্ত জায়গাকে আদা চাষের জন্য বেছে নেয়ার পাশাপাশি চাষাবাদ সম্প্রসারণে কৃষকদের সার বীজ সহ সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
[৬] ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, আমদানী নির্ভর ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য কৃষি বিভাগ কাজ করে যাচ্ছে। এবার জেলায় ১৯শ মেঃটন আদা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার আশা করা হচ্ছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৮১ লাখ টাকা। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :