সোহেল রহমান: [২] সরকারি চুক্তির (জি-টু-জি) আওতায় ৬টি দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৮ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানিসহ পাঁচটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এতে মোট ব্যয় হবে ১৭ হাজার ৬০১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
[৩] বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ক্রয় কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
[৪] বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ-এর সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মোঃ মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদে জানান, বৈঠকে চলতি পঞ্জিকা বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের জন্য ৬টি দেশের ৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৮ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইস অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) এ তেল আমদানি করবে। প্রিমিয়াম ও রেফারেন্স প্রাইসসহ এতে মোট ব্যয় হবে ১৩৯ কোটি ৬৯ লাখ ৮৬ হাজার ৬৮০ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৬ হাজার ৪৮৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
[৫] তিনি জানান, পাঁচ ক্যাটাগরির মোট ১৮ লাখ মেট্রিক টন পরিশোধিত জ্বালানি তেলের মধ্যে ১১ লাখ মেট্রিক টন গ্যাস অয়েল (প্রিমিয়াম হার ৮.৭৫ ডলার); ২ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন জেট এ-১ ফুয়েল (প্রিমিয়াম হার ১০.৮৮ ডলার); ২ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন ফার্নেস অয়েল (প্রিমিয়াম হার ৪৬.৭০ ডলার); ১ লাখ ৭৫ হাজার মেট্রিক টন মোগ্যাস (প্রিমিয়াম হার ৯.৮৮ ডলার) ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন মেরিন ফুয়েল (প্রিমিয়াম হার ৭৬.৮৮ ডলার) রয়েছে।
[৬] জ্বালানি তেল সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছেÑ চীনের পেট্রো চায়না ও ইউনিপেক, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল ও আইওসিএল; ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি; আরব আমিরাত-এর ইনোক; ওমান-এর ওকিউটি ও থাইল্যান্ড-এর পিটিটিটি।
[৭] সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, বৈঠকে ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি লিমিটেড (এনআরএল) থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল (০.০৫% সালফার) আমদানির পৃথক আরেকটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২ কোটি ৩১ লাখ ৯১ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৭৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। প্রতি ব্যারেল ডিজেলের প্রিমিয়াম ধরা হয়েছে ৫.৫০ ডলার।
[৮] তিনি জানান, বৈঠকে দেশের জ্বালানি চাহিদা পূরণে স্পট মার্কেট থেকে সুইজারল্যান্ড-এর টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড থেকে এক কার্গো (৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ) এলএনজি আমদানির একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি চলতি পঞ্জিকা বছরের ২৩তম এলএনজি কার্গো আমদানি। প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ১২.৫৮ ডলার (ইতোপূর্বে কেনা হয়েছে ১৩.৫৫৮ ডলারে) হিসাবে কার্গোটি আমদানিতে ব্যয় হবে ৫৮৩ কোটি ৫৬ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
[৯] সমন্বয় ও সংস্কার সচিব জানান, এছাড়া বৈঠকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ও কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন-এর মধ্যে চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন করে দুটি লটে (৩য় ও ৪র্থ) মোট ৮০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ২৭৫.৫০ ডলার হিসাবে ৮০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় মোট ব্যয় হবে ২৬০ কোটি ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :