মনজুর এ আজিজ: [২] অর্থনীতিবিদ ও সংসদ সদস্যরা মনে করেন ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাক মুক্ত করতে হলে সিগারেটে কার্যকর করারোপ করতে হবে। অবশ্য চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবারের মতো সর্বস্তরে সিগারেটের দাম বাড়ানোর পাশাপাশি আরোপিত সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এ পদক্ষেপগুলোকে প্রশংসনীয় মনে করছেন তারা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলামোটরে উন্নয়ন সমন্বয়ের উদ্যোগে সিগারেটে কার্যকর করারোপ বিষয়ে বাজেট-পরবর্তী নীতি-সংলাপে এসব কথা বলেন তারা।
[৩] অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, মূল্যস্ফীতির হারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সিগারেটের দাম উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়িয়ে কার্যকর হারে করারোপ করা গেলে একদিকে সিগারেটের ব্যবহার কমবে, অন্যদিকে সিগারেট বিক্রি থেকে আসা করের পরিমাণ বাড়বে।
[৪] সভাপতি বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, সিগারেটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমাতে এর দাম একটু একটু করে না বাড়িয়ে এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়ানো দরকার। তিনি বলেন, বাজেটে সিগারেটের দাম বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একটি ‘বিগ পুশ’ দরকার।
[৫] গাজীপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বলেন, সিগারেটে কার্যকর করারোপ নিশ্চিত করা না গেলে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ গঠনের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে না।
[৬] সংসদ সদস্য অপরাজিত হক বলেন, বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সিগারেটের অভিশাপ থেকে সুরক্ষা দিতে বাজেটে সহজলভ্য সিগারেটের দাম বেশি বেশি করে বাড়ানো দরকার। তামাক-বিরোধী নাগরিক সমাজের দাবির মুখে সিগারেটে কার্যকর করারোপে নীতি-নির্ধারকরা আগের তুলনায় মনোযোগী হয়েছেন বলে মনে করেন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ নাহিদ নিগার।
[৭] মহিলা আসন ৩৫-এর সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, এবারের বাজেটে সিগারেটে কার্যকর করারোপ বিষয়ে নাগরিক সংগঠনগুলোর প্রস্তাবনাগুলো পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। এটা আগামীতে নিশ্চিত করতে সংসদ সদস্য ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে একযোগে কাজ করতে হবে। সম্পাদনা: কামরুজ্জামান
এমএএ/কে/এনএইচ
আপনার মতামত লিখুন :