শিরোনাম

প্রকাশিত : ১১ জুলাই, ২০২৪, ০৪:০৮ দুপুর
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৭:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কিশোরগঞ্জে মালটা চাষে সফল সিদ্দিক, বছরে বিক্রি ১০ লাখ টাকা

ফারুকুজ্জামান, কিশোরগঞ্জ: সদর উপজেলার মহিনন্দ ইউনিয়নের ভদ্রপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবি সিদ্দিক। চাকরি শেষে স্বপ্ন দেখেন কিছু করার। মালটা চাষের মাধ্যমে চাষাবাদে সৃজনশীলতা দেখিয়েছেন। তিনি ৩ একর জমিতে মালটা চাষ করে সাফল্য পেয়েছেন।

প্রথম বছরে তিনি ১০ লাখ টাকার মালটা বিক্রি করেছেন। বাগানের ফাঁকে ফাঁকে সাথি ফসল হিসেবে লাগিয়েছেন থাই আদা। এক পাশে জারা লেবু বা কলম্বো লেবুর চারা।

সরেজমিন দেখা গেছে, তাঁর মালটা বাগানে সারি সারি গাছের প্রতিটিতে প্রচুর মালটা ধরেছে। এখনও অপরিণত। আহরণ শুরু হবে মধ্য আগস্ট থেকে। সিদ্দিকের নিজের জায়গাজমি তেমন নেই। তাই অন্যের কাছ থেকে ১০ বছরের জন্য তিন একর জায়গা পত্তন নিয়েছেন ৮ লাখ টাকায়।

কিছু অংশে লাগিয়েছেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি মালটা-১ জাতের ৫০০  চারা। প্রতিটি চারা ৪৫০ টাকায় বিভিন্ন নার্সারি থেকে কিনেছেন। বছরে এই বাগান থেকে ২০০ থেকে ২৫০ মণ মালটা পাওয়া যায়। পাইকারি দরে প্রতি কেজি মালটা বিক্রি হয় ৮০ থেকে ১২০ টাকা। এতে বছরে বিক্রি হয় প্রায় ১০ লাখ টাকার মতো।

এই মালটা পাকলেও সবুজ। বিদেশি হলুদ মালটার তুলনায় বেশি মিষ্টিও বলে জানালেন সিদ্দিক। বাগান থেকে বছরে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার লেবুও বিক্রি করতে পারেন সিদ্দিক। থাই আদার গাছগুলোও তাজা দেখাচ্ছে। ভালো ফলন পাবেন বলে জানান তিনি। মালটা বাগানের পাশেই করেছেন আম ও নারকেল বাগান। সব মিলিয়ে বহুমুখী বাগান গড়ে তুলেছেন সিদ্দিক। 

জেলা উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের উপপরিচালক মাহবুবুর রহমান বলেন, মানুষের মধ্যে ফল, মসলা, ফুল ও বনজ গাছ রোপণের আগ্রহ তৈরি করা হচ্ছে। বিশেষ করে মালটা চাষ করা হচ্ছে। বারি মালটা বিদেশি মালটার ওপর নির্ভরতা কমাচ্ছে। দামেও সাশ্রয়ী, সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ।

কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের কিশোরগঞ্জ গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, বারি ৩৬টি ফল নিয়ে গবেষণা করছে। এসব ফলের টিস্যু কালচার করে ১০১টি উন্নত জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে।

এর মধ্যে মালটার জাত রয়েছে দুটি–বারি মালটা-১ ও বারি মালটা-২। কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে থাকি সময়মতো গাছের পরিচর্যা ও পোকামাকড়ের জন্য সঠিক সময় ঔষধ দেওয়া।

প্রতিনিধি/একে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়