শিরোনাম
◈ বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা: আনন্দবাজারের প্রতিবেদন ◈ ‘বঙ্গবন্ধু রেল সেতু’র নাম পরিবর্তন ◈ হাসান আরিফের মৃত্যুতে উপদেষ্টা পরিষদের শোক ◈ গত ১৫ বছর বাংলাদেশের গণমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রে তাঁবেদারি করেছে : প্রেস সচিব  ◈ উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ ভাতা বৃদ্ধির দাবীতে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেছেন চিকিৎসকরা ◈ রাজধানীর যেসব সড়ক কাল বন্ধ থাকবে, বিকল্প পথে চলার পরামর্শ ◈ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন রোহিঙ্গাদের ফেরাতে যে কৌশলের কথা জানালেন ◈ শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রেড অ্যালার্ট জারি নিয়ে যা বললেন চিফ প্রসিকিউটর (ভিডিও) ◈ রাখাইন রাজ্যের মিলিটারি সদরদপ্তর আরাকান আর্মির দখলে, সতর্ক উখিয়া-টেকনাফ সীমান্ত

প্রকাশিত : ০৪ জুলাই, ২০২৪, ০৬:৪০ বিকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০১:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যয়ের ক্ষেত্রে আবারও কৃচ্ছ সাধনের নীতিতে সরকার

সোহেল রহমান: [২] সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের লক্ষ্যে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরেও বিদ্যুৎ, গ্যাস ও জ্বালানি খাতসহ কয়েকটি খাতে পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় সঙ্কোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এছাড়া সকল ধরনের যানবাহন ক্রয়, ভূমি অধিগ্রহণ, আবাসিক ভবন, অনাবাসিক ভবন এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ রাখা এবং উচ্চ শিক্ষা ও পিএসআই/এফএটি’র সংশ্লিষ্টতা ছাড়া সরকারি অর্থায়নে বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

[৩] বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগ-এর বাজেট অনুবিভাগ-১ থেকে এ-সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করা হয়েছে। 

[৪] প্রসঙ্গত, সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ সাধনের বিষয়ে বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নতুন অর্থবছরেও বাজেট ঘাটতি হ্রাস এবং সীমিত কলেবরে হলেও কৃচ্ছসাধন অব্যাহত থাকবে। তবে দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। সে কারণে সরকারের লক্ষ্য থাকবে আগামী অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে সরকারি ব্যয় ধীরে ধীরে বাড়ানো। তবে এটি সম্ভব হবে যদি রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বাড়ানো যায়।

[৫] অর্থ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কতিপয় ব্যয় স্থগিত/হ্রাসকরণ ও বিদেশ ভ্রমণ সীমিতকরণ’ শীর্ষক পরিপত্রে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে চলতি অর্থবছরে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অন্যান্য প্রতিষ্ঠান এবং আওতাধীন অধিদপ্তর/পরিদপ্তর/দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত/আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর কর্পোরেশন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের কয়েকটি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ে সরকার এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

[৬] পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় বিদ্যুৎ (অর্থনৈতিক কোড নং ৩২১১১১৩) এবং পেট্রোল, অয়েল ও লুব্রিকেন্ট (অর্থনৈতিক কোড নং ৩২৪৩১০১) এবং গ্যাস ও জ¦ালানি খাতে (অর্থনৈতিক কোড নং ৩২৪৩১০২) বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০ শতাংশ ব্যয় করা যাবে। 

[৭] পরিচালন বাজেটের আওতায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ছাড়া নতুন আবাসিক (অর্থনৈতিক কোড নং ৪১১১১০১), অনাবাসিক (অর্থনৈতিক কোড নং ৪১১১২০১) এবং অন্যান্য ভবন ও স্থাপনা (অর্থনৈতিক কোড নং ৪১১১৩১৭) নির্মাণ বন্ধ থাকবে। তবে চলমান নির্মাণ কাজের ৭০ শতাংশ সম্পন্ন হয়ে থাকলে অর্থ বিভাগ-এর অনুমোদন সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। 

[৮] পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ (অর্থনৈতিক কোড নং ৪১৪১১০১) বন্ধ থাকবে। তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ভূমি অধিগ্রহণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সকল আনুষ্ঠানিকতা পরিপালনপূর্বক অর্থ বিভাগের পূর্বানুমোদন গ্রহণ সাপেক্ষে ব্যয় করা যাবে। 

[৯] মোটরযান ক্রয়ের বিষয়ে পরিপত্রে বলা হয়, পরিচালন বাজেটের আওতায় সকল ধরনের যানবাহন (মোটরযান ৪১১২১০১; জলযান ৪১১২১০২ ও আকাশযান ৪১১২১০৩) ক্রয় খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যয় বন্ধ থাকবে। তবে ১০ বছরের অধিক পুরোনো টিওএন্ডইভুক্ত যানবাহন প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের অনুমোদনক্রমে ব্যয় নির্বাহ করা যাবে। তবে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সকল প্রকার যানবাহন (মোটরযান, জলযান ও আকাশযান) ক্রয় বন্ধ থাকবে।   

[১০] পরিপত্রে বলা হয়, চলতি অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব অর্থে সকল প্রকার বৈদেশিক ভ্রমণ/ওয়ার্কশপ/সেমিনারে অংশগ্রহণ বন্ধ থাকবে। তবে অত্যাবশ্যকীয় বিবেচনায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি অর্থায়নে  এবং বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা/বিশ্ববিদ্যালয়/দেশ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশীপ/ফেলোশীপ-এর আওতায় বৈদেশিক অর্থায়নে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে অধ্যয়ন। 

[১১] বিদেশি সরকার/প্রতিষ্ঠান/উন্নয়ন সহযোগীর আমন্ত্রণে ও সম্পূর্ণ অর্থায়নে আয়োজিত বৈদেশিক প্রশিক্ষণ এবং প্রি-শিপমেন্ট ইন্সপেকশন (পিএসআই) বা ফ্যাক্টরি একসেপ্টেন্স টেস্ট (এফএটি)-এর আওতায় বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি-এর জারিকৃত পরিপত্র কঠোরভাবে অনুসরণ এবং একান্ত অপরিহার্য বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুমোদন নিতে হবে। সম্পাদনা: এল আর বাদল

এসআর/এলআরবি/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়