মাসুদ আলম : রাজধানীর মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারসহ অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির মিরপুর মডেল থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- মোঃ আলম হোসেন (৪০), মোঃ মনির আহম্মেদ (৩৫), মোঃ কবির (৩৪), মোঃ মফিজুর হোসেন জনি মোল্লা (৪৪) ও মোছাঃ সুফিয়া (৩৫)।
শুক্রবার রাতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের একটি বাসায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
মিরপুর মডেল থানা সূত্রে জানা যায়, জনৈক মোঃ রাসেল খান গাজীপুরের একজন ফেব্রিক্স ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ফেব্রিক্স ক্রয় করে বিক্রয় করতো। এই ফেব্রিক্স ব্যবসার সুবাদে আয়না ওরফে কাজলীর সাথে তার পরিচয় হয়। গত ৯ জানুয়ারি কাজলী ফেব্রিক্স ক্রয় করার জন্য মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকায় রাসেল খানকে আসতে বলে। রাসেল সরল বিশ্বাসে শুক্রবার দুপুরে মিরপুরের মেট্রোরেল স্টেশনের নিকট বাটা শো-রুমের পাশে আসলে কাজলী ফেব্রিক্স দেখানোর কথা বলে তাকে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়ার বাসায় যাওয়ার জন্য বলে।
রাসেল উক্ত বাসায় পৌঁছলে কয়েকজন দুষ্কৃতকারী জোরপূর্বক তাকে একটি রুমে আটকে রেখে তার নিকট থাকা নগদ ৩৫ হাজার টাকা, তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। অতঃপর তার মোবাইল ফোনে থাকা বিকাশ ও নগদের পিন কোড নিয়ে আরও ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এরপর অপহরণকারীরা রাসেলের ফোন থেকে রাসেলের মা,বাবা, স্ত্রী ও বন্ধু এলাহীর নিকট ফোন করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
থানা সূত্রে আরো জানা যায়, ভিকটিম রাসেলের বন্ধু এলাহী অপহরণের বিষয়টি মিরপুর মডেল থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ দ্রুততম সময়ে ভিকটিমকে উদ্ধারসহ অপহরণকারীদের গ্রেফতারে তৎপর হয়।
পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ভিকটিম ও অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করে। অতঃপর রাতে মিরপুরের শেওড়াপাড়া এলাকার ইকবাল রোডের সুফিয়ার বাসায় অভিযান পরিচালনা ভিকটিমকে উদ্ধার করে ও পাঁচ অপহরণকারীকে গ্রেফতার করে। এসময় অপহরণকারীদের হেফাজত হতে একটি চাকু, নগদ ১৪ হাজার টাকা ও পাঁচটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় ভিকটিম রাসেলের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতারকৃত পাঁচজন সহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার মামলায় গ্রেফতারকৃতদেরকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও অপহরণের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :