রাজধানীর আদাবরে কিশোর গ্যাংয়ের মহড়ায় বাধা দেওয়ায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এলাকাবাসীর ওপর হামলা করেছে চক্রের কয়েকশ সদস্য। শুক্রবারের এ হামলায় তারা স্থানীয় অর্ধশতাধিক বাসিন্দাসহ অটোরিকশা ও সিএনজি চালককে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে।
আদাবরের মেহেদীবাগ, আদাবর বাজার এলাকায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চালানো হামলায় প্রায় অর্ধশতধিক বাসিন্দা আহত হয়ে হাসাপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন- মশিউর রহমান মুন্না (৪২), আলমগীর (২০) ও আরিফ (২০)।
স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা ৬টায় দিকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ ১৫-২০ জনের একটি দল মেহেদীবাগ এলাকা হয়ে আদাবর বাজারের দিকে মহড়া দিতে আসে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের পথ আটকালে তারা তাদের ওপর চড়াও হয়। এই মহড়ায় বাধা দেওয়ার অজুহাতে রাত ১০টার দিকে প্রায় এক থেকে দেড়শ সদস্য নিয়ে এসে সামনে যাকে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এর সঙ্গে জড়িত একজনকে আটক করে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন বাসিন্দারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এ হামলার নেপথ্যে রয়েছে আদাবরের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং চক্রের প্রধান সুমন ওরফে ডিবি সুমন। তার নেতৃত্বে তাণ্ডব চালায় কিশোর গ্যাং চক্র। সে এক সময় স্থানীয় ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসু ও কাসুর কিশোর গ্যাং বাহিনীর প্রধান ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হাসু ও কাসু পালিয়ে যাওয়ায় তাদের অনুপস্থিতে তার ভাই স্বাধীনের অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে এ কিশোর গ্যাং চক্র। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, এ ঘটনায় স্বাধীনের ইন্ধনে এলাকায় ত্রাস কায়েম করার জন্য চক্রটি এ মহড়া দিয়েছে।
শুক্রবারের হামলায় আহত মশিউর রহমান মুন্নার ছেলে বাবু জানান, হামলায় আমার বাবা গুরুতর আহত হয়েছেন। তিনি একজন সিএনজি চালক। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আরেক ভুক্তভোগী আলমগীর জানান, অতর্কিত হামলা করে আমাকে আহত করেছে। তারা যাদের সামনে পেয়েছে তাকেই কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আলমগীর, মুন্না ছাড়াও মেহেদীবাগের প্রায় অর্ধশতাধিক বাসিন্দা এ হামলায় আহত হয়েছেন।
আদাবর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এসএম জাকারিয়া জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা আদাবর থানায় এসেছেন। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।
আপনার মতামত লিখুন :