শিরোনাম
◈ আওয়ামী লীগের দোসররা দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে: মধ্যরাতে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা (ভিডিও) ◈ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে বিক্ষোভ (ভিডিও) ◈ মধ্যরাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ◈ 'আ. লীগের বিচার না করলে জনগণ আবার আন্দোলনে নামবে' (ভিডিও) ◈ বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি, ২০০ ভরি স্বর্ণ লুট (ভিডিও) ◈ দেশের সব মেডিকেল কলেজে সোমবার ‘একাডেমিক শাটডাউন’ ◈ এবার জামায়াতের আমীরের বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে শিবির ◈ জুনে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে নেপাল ◈ চলন্ত বাসে ডাকাতি-শ্লীলতাহানি; ভুক্তভোগী নারীর লোমহর্ষক বর্ণনা! ভিডিও ◈ মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে: ছাত্রদল

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৬ দুপুর
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ০৯:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়? জানতে গুগলে সার্চ করে ধরা খেলো খুনি

চার মাস আগে উধাও হয়ে যান মমতা ভাট নামের এক নারী। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। লাশও উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনায় মমতার স্বামী নরেশ ভাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু গ্রেফতার করাই নয়, তাকে একপ্রকার দোষী বলেও মেনে নিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টির গ্র্যান্ড জুরিরা।

আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। গুগলে জানতে সার্চ করে ধরা খেলো খুনি। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। 

নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হল কেন? এর পিছনে রয়েছে সার্চ হিস্ট্রি আর কয়েক ফোঁটা রক্ত। যা টানটান গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানাবে। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত দেখতে পায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষায় এই রক্ত মমতা ভাটের বলেই জানা গিয়েছে।

এরপর সামনে আসে নরেশের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সার্চ হিস্ট্রি। গোয়েন্দারা দেখেন নরেশ দুটো জিনিস গুগলে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করেছেন। এক, ‘স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর ফের বিয়ে করা যায়?’ দুই, ‘মৃত স্ত্রীর দেনা কি স্বামীর ঘাড়ে চাপে?’ হত্যার স্বপক্ষে এই দুটি সার্চ হিস্ট্রিকেই ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে পুলিশ।

মমতার বয়স ২৮ বছর। পেশায় নার্স। জুলাই মাসে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর আচমকা উধাও হয়ে যান। স্থানীয় পুলিশ এবং মমতার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত পান তদন্তকারীরা। সেটা মমতার ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলে যায়।

এরপরই নরেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় তার বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকনোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর নরেশের কম্পিউটার খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তখনই এই সার্চ হিস্ট্রি সামনে আসে। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা এবং মৃতদেহ অবমাননার অভিযোগ যোগ করা হয়।

প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টি পুলিশের প্রধান মারিও লুগো বলেন, প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল যে মমতাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে কোনও প্রমাণ ছিল না।’

এরপর ডিএনএ রিপোর্ট এবং নরেশের অনলাইন সার্চ হিস্ট্রির খবর জানান তিনি। দাবি করেন, এই দুটো প্রমাণই নরেশের বিরুদ্ধে গিয়েছে।

লাশ না মেলায় তদন্ত চালাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান মারিও লুগো। তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফরেনসিক এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। পরোক্ষ প্রমাণও মামলায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। নরেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখনও মমতার দেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহের কাজও চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়