শিরোনাম
◈ রাশিয়ার বহুতল ভবনে ৯/১১-র ধাঁচে ড্রোন হামলা! (ভিডিও) ◈ হারিয়ে যাওয়া ৫৩ টি মোবাইল উদ্ধার করে  মালিকদেরকে বুঝিয়ে দিলো ডিএমপি ◈ নবম শ্রেণীর পাঠ্যবই ’মেয়ে’ গল্প নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ও যে তথ্য দিলেন আসিফ মাহতাব (ভিডিও) ◈ আমি ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস মানি না: আসাদুজ্জামান ফুয়াদ (ভিডিও) ◈ যদি শেখ হাসিনা টিকে যেত এই সেমিনার কি হতো, প্রশ্ন আন্দালিব রহমান পার্থের (ভিডিও) ◈ নারী পুলিশের দিকে তাকিয়ে আসামির হাসি, নেট দুনিয়ায় তোলপাড়, ভিডিও নিয়ে যা জানা গেল ◈ সাকিব-তামিম চাইলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পারবেন: বিসিবি সভাপতি ◈ নারী এশিয়া কাপের ফাইনালে রোববার ভারত ও বাংলাদেশ মুখোমুখি ◈ ঢাকা মেট্রোকে হারিয়ে এনসিএল ক্রিকেটের ফাইনালে রংপুর বিভাগ ◈ আইসিসির কাছে বিশপের সুপারিশ, শামীম-জাকেরকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেট’ পুরস্কার দেয়া হোক 

প্রকাশিত : ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২:০৬ দুপুর
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:০০ বিকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর বিয়ে করা যায়? জানতে গুগলে সার্চ করে ধরা খেলো খুনি

চার মাস আগে উধাও হয়ে যান মমতা ভাট নামের এক নারী। এখনও পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ মেলেনি। লাশও উদ্ধার হয়নি। এই ঘটনায় মমতার স্বামী নরেশ ভাটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুধু গ্রেফতার করাই নয়, তাকে একপ্রকার দোষী বলেও মেনে নিচ্ছেন প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টির গ্র্যান্ড জুরিরা।

আমেরিকার ভার্জিনিয়ায় ঘটল এক অদ্ভুত ঘটনা। গুগলে জানতে সার্চ করে ধরা খেলো খুনি। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। 

নিখোঁজ মহিলার স্বামীকে খুনের দায়ে গ্রেফতার করা হল কেন? এর পিছনে রয়েছে সার্চ হিস্ট্রি আর কয়েক ফোঁটা রক্ত। যা টানটান গোয়েন্দা গল্পকেও হার মানাবে। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত দেখতে পায় পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষায় এই রক্ত মমতা ভাটের বলেই জানা গিয়েছে।

এরপর সামনে আসে নরেশের ব্যক্তিগত কম্পিউটারের সার্চ হিস্ট্রি। গোয়েন্দারা দেখেন নরেশ দুটো জিনিস গুগলে সবচেয়ে বেশিবার সার্চ করেছেন। এক, ‘স্ত্রীর মৃত্যুর কতদিন পর ফের বিয়ে করা যায়?’ দুই, ‘মৃত স্ত্রীর দেনা কি স্বামীর ঘাড়ে চাপে?’ হত্যার স্বপক্ষে এই দুটি সার্চ হিস্ট্রিকেই ‘গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ’ হিসেবে পেশ করে পুলিশ।

মমতার বয়স ২৮ বছর। পেশায় নার্স। জুলাই মাসে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল। তারপর আচমকা উধাও হয়ে যান। স্থানীয় পুলিশ এবং মমতার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু কোনও হদিশ মেলেনি। নরেশের বাড়িতে তল্লাশির সময় কয়েক ফোঁটা রক্ত পান তদন্তকারীরা। সেটা মমতার ডিএনএ-এর সঙ্গে মিলে যায়।

এরপরই নরেশকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সময় তার বিরুদ্ধে মৃতদেহ লুকনোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। এরপর নরেশের কম্পিউটার খুঁটিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। তখনই এই সার্চ হিস্ট্রি সামনে আসে। এরপর তার বিরুদ্ধে হত্যা এবং মৃতদেহ অবমাননার অভিযোগ যোগ করা হয়।

প্রিন্স উইলিয়াম কাউন্টি পুলিশের প্রধান মারিও লুগো বলেন, প্রথম থেকেই আমাদের সন্দেহ ছিল যে মমতাকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের হাতে কোনও প্রমাণ ছিল না।’

এরপর ডিএনএ রিপোর্ট এবং নরেশের অনলাইন সার্চ হিস্ট্রির খবর জানান তিনি। দাবি করেন, এই দুটো প্রমাণই নরেশের বিরুদ্ধে গিয়েছে।

লাশ না মেলায় তদন্ত চালাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে বলেও জানান মারিও লুগো। তবে আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফরেনসিক এখন অনেক এগিয়ে গিয়েছে। পরোক্ষ প্রমাণও মামলায় বড় ভূমিকা নিতে পারে। নরেশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। এখনও মমতার দেহ খুঁজে বের করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। অতিরিক্ত প্রমাণ সংগ্রহের কাজও চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়