মাসুদ আলম : সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কাঙলাকান্দা নলুয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রইস উদ্দিন হত্যা মামলায় দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালাত। বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের আদালত এ আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন- নলুয়া গ্রামের আজিজ আলী মন্ডলের ছেলে মো. মামুন (২৮) ও জুগ্নীদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত রানু শেখের ছেলে জয়নাল শেখ (৫০)। এদের মধ্যে একজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সাকের্লের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, রইস উদ্দিনের প্রথম স্ত্রী মারা যাবার পর দ্বিতীয় বিয়ে করে। প্রায় ৯ বছর আগে তার দ্বিতীয় স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়। এরপর থেকে সে একাই থাকতো এবং মুদি দোকান করতো। গ্রেফতারদের কাছে টাকা না থাকায় ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। এদিকে প্রতিদিনের মতো গত ৩ নভেম্বর সকালে সে দোকানে আসে। রাতে রইস বাসায় গেলে গ্রেফতাররা তাকে ডাক দেয়। এ সময় রইস বাইরে বের হলে জয়নাল রইসকে চেপে ধরলে মামুন জবাই করে হত্যা করে এবং তার তোষকের নিচে থাকা ১৬ হাজার টাকা নেয় তারা। এরপর তার ব্যবহৃত ২টি মোবাইল এবং রক্ত টয়লেটে ফেলে দেয় এবং মামুনের রক্তমাখা লুংগি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু বাড়ির পাশের ডোবাতে ফেলে দেয়া হয়। নিহতের লাশ বস্তার মধ্যে ঢুকিয়ে পাশ্ববর্তী ডোবায় ফেলে দিয়ে লুটের টাকা ভাগ করে নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে থাকে তারা।
তিনি আরও বলেন, বুধবার দুপুরে নলুয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রইস হত্যার সাথে জড়িত ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময় তাদের দেয়া তথ্যর ভিত্তিতে ২টি মোবাইল ফোন, ট্রাউজার, লুঙ্গি ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যার শাহজাদপুর পৌর এলাকার নলুয়া বাজারের পাশের একটি ডোবা থেকে রইসের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। স্বজনেরা তাকে বহু খোঁজাখুজি করে সন্ধান না পেয়ে গত ৮ নভেম্বর শাহজাদপুর থানায় একটি জিডি করেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বলেন, ১৬ হাজার টাকার মধ্যে মামুন নেয় দশ হাজার। আর জয়নাল নেয় ছয় হাজার টাকা। মামুন পেশায় রাজমিস্ত্রি। আর জয়নাল ভবঘুরে। গ্রেফতাররা মাঝে মাঝে রইসের দোকানে আড্ডা দিতো।
আপনার মতামত লিখুন :