মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী দুই জনশক্তি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করে প্রত্যর্পণের জন্য দেশটির সরকারকে অনুরোধ করেছে বাংলাদেশের পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, অর্থ ও মানব পাচারের অভিযোগ রয়েছে। খবর ব্লুমবার্গের।
২৪ অক্টোবর বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়াতে চিঠিটি পাঠানো হয়। এতে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হচ্ছেন-আমিনুল ইসলাম ও রুহুল আমিন। ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জোরপূর্বক অর্থ আদায় ও শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
চিঠিটির একটি অনুলিপি যাচাই করেছে ব্লুমবার্গ। তবে অভিযুক্তদের আটক করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। দুদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চিঠি আদান-প্রদানের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশে জন্ম গ্রহণকারী আমিনুল এক দশক আগে মালয়েশিয়ার নাগরিকত্ব পান। তার আইনজীবীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আমিনুলের বিরুদ্ধে আনীত সব অভিযোগ মিথ্যা।
আরেক অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও খুব একটা সফল হয়নি ব্লুমবার্গ। রুহুল আমিনের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ক্যাথারিস ইন্টারন্যাশনালের একজন প্রতিনিধি মেইলে জানিয়েছেন, আমিনের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। তাদের প্রতিষ্ঠান সব সময় আইন মেনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে।
মালয়েশিয়ার পুলিশ, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে কোনো সাড়া পায়নি ব্লুমবার্গ। মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
মালয়েশিয়ার শ্রমবাজারে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দুর্নীতি ও মানব পাচারের অভিযোগ পুরোনো। বিগত সরকারের সময়ে এ নিয়ে তুমুল সমালোচনা ও প্রতিবাদ সত্ত্বেও তেমন কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। উপরন্তু এসব সিন্ডিকেট ও অনিয়মের সঙ্গে সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজন জড়িত ছিল বলে প্রমাণ মেলে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ অভিবাসী শ্রমিকদের পাঠানোর আড়ালে অর্থ পাচার, সিন্ডিকেট করে অভিবাসন ব্যয় বাড়ানো এবং মানব পাচারের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। উৎস: যুগান্তর।
আপনার মতামত লিখুন :