এম.এ. লতিফ: [২] রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত কোটা আন্দোলনের সময় রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় মেট্রোরেল স্টেশনে হামলা, ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানার মামলায় তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
[৩] রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন,বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এমএ সালাম ও বিএনপির সমর্থক মাহমুদুস সালেহীন।
[৪] এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী জোনাল টিমের পুলিশ পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান মুন্সী এ মামলায় আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
[৫] গত ২২ জুলাই ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের এমআরটি লাইন-৬ এর উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মোঃ ইমাম উদ্দীন কবীর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ছয় হাজার জনকে আসামি করে কাফরুল থানায় একটি মামলা করেন।
[৬] মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত সরকারবিরোধী আন্দোলনরত দল ও অঙ্গ সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনে ৫/৬ হাজার দুর্বৃত্ত লাঠিসোঁটা, লোহার রড, হকিস্টিক ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র যেমন- রামদা, দা, কুড়াল, শাবল, কাটার, হাতুড়ি ইত্যাদি নিয়ে কাজীপাড়া মেট্রোরেল স্টেশনে ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম চালায় এবং মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি লুটপাট করে নিয়ে যায়। তাদের অগ্নিসংযোগ ও ব্যাপক ভাঙচুরে মেট্রোরেল স্টেশনের ১০০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে কাফরুল থানার আওতাধীন অংশে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। সম্পাদনা: সমর চক্রবর্তী
এসবি২
আপনার মতামত লিখুন :