মশিউর রহমান, নাজিরপুর: [২] পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার কালিবাড়ী বাজার এলাকার উত্তর জয়পুর গ্রামে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি দায়ের কোপে যুথিকা বালা (৪৫) নামের এক গৃহবধূ নিহত হয়েছেন।
[৩] বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নারায়ন বালার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মৃত যুথিকা বালা ওই এলাকার নারায়ন বালার স্ত্রী।
[৪] থানা পুলিশের ধারনা মাদকাসক্ত কোন লোক টাকার জন্য তাদের বাড়িতে ঢুকে গৃহবধুকে কুপিয়ে হত্যা করতে পারে। এ ঘটনায় মৃতের ছেলে জ্যোতিষ বালা ও তার চাচাতো ভাই উজ্জ্বল বালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে থানা পুলিশ।
[৫] নিহতের ছেলে খিতিশ বালা জানান, তাদের কালিবাড়িতে তার একটি চায়ের দোকান রয়েছে। প্রতিদিন ওই দোকানের কাজ শেষে ১১-১২ টার দিকে তার পিতা ও তিনি বাড়িতে যান। প্রতিদিনের দিনের মতো রাত ১২ টার দিকে তিনি ও তার পিতা দোকান থেকে বাড়িতে ফিরেন। এর কিছু আগে বড় ভাই জ্যোতিষ বালা বাড়িতে ফিরে দেখতে পান তার মাকে দুর্বৃত্তরা মারাত্মকভাবে কুপিয়ে আহত করে রক্তাত অবস্থায় ঘরে ফেলে রেখে গেছে। তাকে উদ্ধার করে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন। এম্বুলেন্সে খুলনায় রওনা হলে উপজেলার আদাজুড়ি নামক স্থান পর্যন্ত পৌছাইলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
[৬] তিনি আরো জানান, আমরা এনজিও থেকে লোন তুলি তার কিছু টাকা ঘরে ছিলো। ধারনা করা হচ্ছে কেহ ওই টাকা নিতে আসলে মা তাতে বাঁধা দেন। এর জের ধরে মাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে তার মা কিছুটা মানুষিক ভারসম্মহীন। তাদের পারিবারিক কোন শত্রু নাই বলে তার দাবী। তার মা তাদের ফাঁকা বাড়িতে ওই রাতে একাই ছিলেন।
[৭] স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. তারিকুল ইসলাম সিন্টু হাওলাদার বলেন, তার বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সেখানে গিয়ে গৃহবধুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা প্রেরন করেন।
[৮] উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার জিনাত তাসনিম বলেন, ওই নারীর নাক, মুখ ও ঘাড় সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাঁড়ালো অস্ত্রের কয়েকটি কোপের চিহ্ন রয়েছে হাতের একটি আঙ্গুল ও বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
[৯] নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, পুলিশ সুপার স্যারসহ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। কি কারনে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা ধারনা করা সম্ভব হচ্ছে না। কেননা তাদের পারিবারিক অবস্থা মোটেই ভালো না। তা ছাড়া তিনি মানসিক প্রতিবন্ধী। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে, এবিষয়ে অজ্ঞাতনামা একটি হত্যা মামলা রুজু হয়েছে। সম্পাদনা: এ আর শাকিল
প্রতিনিধি/এআরএস
আপনার মতামত লিখুন :