শিরোনাম
◈ চাইনিজ কমিউনিস্ট পার্টির সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর থেকে গভীরতর হচ্ছে : মির্জা ফখরুল  ◈ রাষ্ট্র মেরামতের আড়ালে কি চাপা পড়ল রাজনৈতিক দলের সংস্কার? ◈ পানি ছাড়ল ভারত, বন্যার কবলে পাকিস্তানের কাশ্মীর (ভিডিও) ◈ ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহিদ জসীমের মেয়ে লামিয়ার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার ◈ মার্কিন শুল্কনীতি: সংকট মোকাবিলায় তৈরি হচ্ছে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ◈ ভারতে জেল খেটে ফিরলো ৭ বাংলাদেশি ◈ অনসোর পিএসসির খসড়া প্রস্তুত, মন্ত্রণালয়ে যাচ্ছে শিগগিরই! ◈ নিউজিল্যান্ড এ’ দলের বিরু‌দ্ধে বাংলা‌দে‌শের স্কোয়াড ঘোষণা, দ‌লে আস‌লেন মুস্তাফিজ ◈ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে ভ্যাটিকান সিটিতে প্রধান উপদেষ্টার শুভেচ্ছা বিনিময় ◈ দেশে নতুন ভোটার ৬৩ লাখ, বাদ ২৩ লাখ মৃত ভোটার

প্রকাশিত : ২৬ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:৫৩ দুপুর
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

হত্যার ১১ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার

জহিরুল ইসলাম শিবলু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. শাহ জালালকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি সদরের চরশাহী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান ভূঁইয়াকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।

ঘটনার পর ১১ বছর তিনি পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নেন। শনিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে র‌্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার জালাল সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের আব্দুল হক বেপারীর ছেলে।

র‌্যাব ও মামলা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২১ মে রাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা মান্নানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। রাতেই বাড়ির পাশে তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘটনার চার দিন পর নিহতের স্ত্রী আঞ্জুম আরা বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২ জুন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ তদন্ত করে আটজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। ২০২০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শাহেনূর মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, পাঁচজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেকের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানার নির্দেশ দেন বিচারক। তবে রায়ের দিন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি কফিল উদ্দিন ছাড়া বাকিরা পলাতক ছিলেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন—আবদুর রহমান ও মো. জয়নাল। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মো. জুলফিকার, খোরশেদ আলম, ইয়াসিন আরাফাত রাফি ও মো. মুক্তার।

র‌্যাব-১১-এর নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মিঠুন কুমার কুণ্ডু বলেন, মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম চালায়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রামপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে জালালকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিজেকে হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি হিসেবে স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়