শিরোনাম
◈ ভারত-পাকিস্তান সেনাদের মধ্যে ফের গোলাগুলি, উত্তেজনা চরমে ◈ ঢাকার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে চালু করা হচ্ছে স্বয়ংক্রিয় ট্রাফিক সিগন্যাল ◈ নারী সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনায় ‘পরিবার ব্যবস্থাপনা ভাঙার নীলনকশা’ দেখছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ সীমিত পরিসরে প্রবাসীদের ভোটাধিকার দিতে চায় নির্বাচন কমিশন: সিইসি ◈ সৌদি আরবে পৌঁছেছেন ১২২৪ হজযাত্রী ◈ সবার উদ্দেশে একটি ছোট ঘোষণা—আমি এনসিপির সঙ্গে কোনোভাবে যুক্ত নই: উমামা ◈ পাকিস্তানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ, নিহত ৯ ◈ অবৈধ জুয়া: তারকারা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা, নিঃস্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষ ◈ কানাডা নির্বাচন: লিবারেল পার্টির জয়, প্রধানমন্ত্রী থাকছেন মার্ক কার্নি ◈ ইশরাকের মেয়র পদের গেজেট নিয়ে বিতর্ক কেন? শপথ নিলে কতদিন পদে থাকতে পারবেন?

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২৫, ০৪:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৭ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:০০ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরিচ্ছন্নতা কর্মীর অভাবে হাসপাতাল যেন নিজেই রোগী!

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম জেলার ২০ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবার জন্য একমাত্র ভরসাস্থল আড়াই শ' শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটিতে রাজস্ব খাতের বেতনভুক্ত কোন পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) নেই। পরিস্কার-পরিচ্ছনতার অভাবে হাসপাতালটি যেন নিজেই রোগী বনে গেছে।
 
সংশ্লিষ্ট নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়- হাসপাতালটিতে মোট পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)র পদ রয়েছে ৭টি। তার মধ্যে মাত্র ৩জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) থাকলেও তারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন না। এদের মধ্যে মোঃ ইউনুস আলী খন্দকার নামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) গত ৮ মাস পুর্বে প্রেষনে রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য)-এর কার্যালয়ে চলে যায়। মোঃ মোকাদেস রহমান নামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)-এর বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা থাকায় সে ১ বছর আগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে। অপরজন আব্দুল মান্নান নামের পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) হাসপাতালে থাকলেও সে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করে না। সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও)-এর কার্যালয়ে অফিস সহায়ক পদে কর্মরত রয়েছে। ফলে কার্যত হাসপালটিতে রাজস্ব খাতের বেতনভুক্ত কোন পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) নেই। এমতাবস্থায় জোড়াতালি দিয়ে হাসপাতালটিতে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নেয়া হচ্ছে।
 
অতি সম্পতি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়ানো লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে অনশন, মানববন্ধন, রোগীদের মাঝে ইফতার বিতরন সহ বেশ কিছু কর্মসুচি পালন করা হয়।
 
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহবায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ বলেন, সুইপারকে দিয়ে ব্যক্তিগত কাজ করিয়ে নেয়ার বিষয়টি নিন্দনীয়। আমি এঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যার যে কাজ তাকে সেই কাজ করতে হবে। তাহলে সাধারন মানুষ সঠিক স্বাস্থ্য সেবা পাবে। হাসপাতালের জনবল সংকট কাটিয়ে উঠার জন্য আমরা বিভিন্নভাবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। খেয়াল রাখতে হবে আমাদের যা আছে তাই দিয়ে যেন মানুষকে ভালো সেবা দিতে পারি।
 
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ মোঃ শাহিনুর রহমান সরদারের সাথে কথা হলে তিনি বর্তমান সদর হাসপাতালে রাজস্ব খাতের বেতনভুক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) শুন্য থাকার বিষয়টি অকপটে স্বীকার করে বলেন- আমি দায়িত্ব নেয়ার পর দেখেছি পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার) আব্দুল মান্নান আরএমও অফিসে অফিস সহায়ক পদে কাজ করছিলো। এখনো সে আমার অফিসে একই কাজ করে আসছে। তবে সে তার নিজের টাকা দিয়ে একজন পেশাদার সুইপারকে দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ চালিয়ে নেয়। 
 
তিনি আরো বলেন- তত্ত্বাবধায়ক স্যার আনঅফিসিয়ালী কয়েকজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী রেখেছেন। আর গত জুন মাস থেকে আউট সোর্সিংয়ে কর্মরত পরিচ্ছন্নতাকর্মী (সুইপার)দের মেয়াদ শেষ হবার দরুন পরিস্থিতি আরো বেশী জটিল হয়ে পড়েছে।
 
একই প্রসঙ্গে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডঃ মোঃ শহিদুল্লাহ এবং রংপুর বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডাঃ মোঃ হারুন-অর-রশীদের সাথে অফিস সময়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। 
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়