শিরোনাম
◈ ফের সংঘর্ষে ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা (ভিডিও) ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি পোড়ার তথ্যটি সঠিক নয়: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ◈ পারভেজ হত্যায় আলোচিত সেই দুই ছাত্রী সাময়িক বহিষ্কার ◈ সাগর-রুনি হত্যা মামলার ডিবিতে থাকা নথি আগুনে পুড়ে গেছে: হাইকোর্টকে রাষ্ট্রপক্ষ ◈ মানুষের জীবন বিপন্ন করে দাবি আদায়ের শিক্ষা কে দিয়েছে ডাক্তারদের: সেনাবাহিনীর মেজর মেজবাহ উদ্দিন (ভিডিও) ◈ বিচার বিভাগসহ চার ইস্যুতে বিএনপি-জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের তৃতীয় দফা বৈঠক ◈ বিরলে কৃষক ভবেশের মৃত্যুর ৪ দিন পর থানায় হত্যা মামলা ◈ ফ্লোরিডায় উড্ডয়নের আগেই প্লেনে আগুন, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ২৮২ যাত্রী (ভিডিও) ◈ পরীক্ষাকেন্দ্রে হট্টগোল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে ১২ শিক্ষককে অব্যাহতি! ◈ বিশ্বজুড়ে বিরাট সাইবার অপরাধের আশঙ্কা: জাতিসংঘ

প্রকাশিত : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৯:১৩ সকাল
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ০৩:০০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ভবেশ রায়ের মৃত্যু নিয়ে অতিরঞ্জনের পেছনে আওয়ামী লীগ?

নয়াদিগন্ত প্রতিবেদন: দিনাজপুরের সাঁওতাল নেতা ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যু নিয়ে দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। অথচ এখনো ঘটনার প্রকৃত কারণ নির্ধারণে চূড়ান্ত প্রমাণ সামনে আসেনি। মৃত্যুর পেছনে কী ছিল? এটি সুপরিকল্পিত হত্যা, অনিচ্ছাকৃত ঘটানো মৃত্যু নাকি নিছক একটি দুঃখজনক স্বাভাবিক মৃত্যু? এই তিন সম্ভাব্য সিনারিও এখনো আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে, যখন সত্য এখনো অনিশ্চিত, তখন ‍কিভাবে এই ঘটনাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি ‘জাতিগত নিপীড়ন’ হিসেবে প্রচার করা সম্ভব হলো? এ বিষয়ে বিশ্লেষণ পেশ করেছেন এএফপি ফ্যাক্টচেকার কদর উদ্দিন শিশির।

তিনি ফেসবুকের এক পোস্টে বলেন, দিনাজপুরের ভবেশ চন্দ্র রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় এখনো উপসংহারে আসার মতো কোন এভিডেন্স পাওয়া যায়নি।

সম্ভাব্য তিনটা সিনারিও হতে পারে,

১. হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে ছলনা করে (জোরপূর্বক উঠিয়ে নেয়া বা অপহরণ নয় তা স্বাক্ষ্য প্রমাণ থেকে নিশ্চিত) তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং পরিকল্পনা মতো হত্যা করা হয়েছে।

২. (দ্বাদনের/ঋণের টাকার সুদ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায়) তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে (তার সম্মতিতেই) জিজ্ঞাসাবাদ ও কম/বেশি শারিরীক নির্যাতন করা হয়, যা হত্যার উদ্দেশ্যে ছিল না- কিন্তু সেই নির্যাতন/আঘাতের ফলেই ভবেশ মারা যান।

৩. কোনো শারিরীক নির্যাতন করা হয়নি। বয়স্ক ব্যক্তি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা গেছেন।

ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিছু প্রশ্ন আছে যা ২ এবং ৩ নং সিনারিও উভয়টির যেকোনো একটির সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে। কিন্তু কিছুই নিশ্চিত হওয়া যায় না।
যেমন যদিও পুলিশ বলেছে তারা সুরতহালে বা ময়নাতদন্তে লাশে কোনো আঘাত পায়নি। কিন্তু নিহতের পরিবারের লোকজন বলছেন তারা লাশের ঘাড়ের কাছে একটি আঘাতের চিহ্ন দেখেছেন। যদিও আমি চেষ্টা করেও উনাদের কারো কাছ থেকে সেই আঘাতের চিহ্নের ছবি পাইনি। এই কথিত আঘাতের চিহ্নের নানান ব্যাখ্যা হতে পারে।

এটি নির্যাতনের কারণে হতে পারে, আগে থেকে থাকতে পারে, অসুস্থ হয়ে মাটি পড়ে গিয়ে কিছুর আঘাত লেগে থাকতে পারে, মারা যাওয়ার সময়টাতে বা পরে ভ্যান ইত্যাদিতে করে অযত্নে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় অসাবধানতাবশত লাগা কোসো আঘাত হতে পারে। এভাবে আরো অনেক সম্ভবানা থাকে এই আঘাত ঘিরে।

এই যে আঘাত নিয়ে এই ধোয়াশা তা থেকেই বুঝা যায় যে, আঘাতটা এমন নয় যেটি দেখে ডিটারমাইন করা যাবে এর ফলেই মৃত্যু হয়েছে। স্পষ্টতই মৃত্যুর কারণ বলে মনে হতে পারে- এমন কোন আঘাত না থাকা এটাও ইন্ডিকেট করে যে এই ঘটনা পরিকল্পিত হত্যা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কাউকে হত্যা করার পরিকল্পনা থাকলে এত গৌন একটি মাত্র আঘাত করে বসে থাকবে না খুনিরা। বিষাক্ত কোনো কিছু খাইয়ে হত্যারও কোনো প্রমাণ মেলেনি। ভিসেরা রিপোর্ট পেলে এই বিষয়টি হয়তো আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।

ঘটনার পূর্বসূত্র হিসেবে নিহত ব্যক্তি এবং যারা তার বাড়ি থেকে তাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে গেছেন তাদের মধ্যে যেহেতু ঋণকেন্দ্রিক দ্বন্দ্ব রয়েছে। ফলে এটা আশঙ্কা করাই যায় যে মোটরসাইকেলওয়ালারা তাকে এসব বিরোধসংক্রান্ত ইস্যুর জন্য নিয়ে যেতে পারে। এর চূড়ান্ত ফল হিসেবে শারিরীক নির্যাতনও হয়ে থাকতে পারে।

আবার এ ঘটনায় পরিবারের সদস্যদের একাধিক রকমের বক্তব্য মিডিয়াতে এসেছে। কখনো তারা বলেছেন, তারা এটিকে হত্যা মনে করছেন না। আবার কোথাও বলেছেন, হত্যা মনে করছেন। কারণ তারা একটি আঘাত দেখেছেন এবং তাদেরকে নাকি কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, তারা দেখেছেন ভবেশকে নির্মমভাবে মারা হচ্ছে। (তারা প্রকৃত ঘটনার বিষয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় তিন দিন পর পর্যন্ত এখনো মামলা করেননি।)

কিন্তু আমি অন্তত পাঁচজন স্থানীয় সাংবাদিকের সাথে কথা বলেছি এবং উল্লেখযোগ্য সব মিডিয়ার এ সংক্রান্ত রিপোর্টগুলো দেখেছি, কোথাও কোনো প্রত্যক্ষদর্শীর নাম পরিচয় কেউ দিতে পারছে না। নিহতের পরিবারও না।

বরং এমন প্রত্যক্ষদর্শী মিডিয়াতে কথা বলেছেন যারা বলেছেন যে মারা যাওয়ার আগে মোটরসাইকেলওয়ালারা এবং ভবেশ একসাথে তার দোকানে চা খেয়েছেন। এমনকি উভয়পক্ষের মধ্যে কোনো বাকবিতণ্ডা ঝগড়া ঝাটি বা অস্বাভাবিক কিছু দেখেছে এমন কোনো প্রত্যক্ষদর্শীও এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

ভবেশের মৃত্যুর পর রতন/আতিকদেরকে ঘরবাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। তারা গা ঢাকা দিয়েছেন। এই বিষয়টি সন্দেহের উদ্রেক করে। তবে এটি তাদের পরিকল্পিত হত্যা বা অপরিকল্পিত হত্যা কিংবা নির্যাতনে জড়িত থাকা কিছুই প্রমাণ করে না। বরং নানান বর্ণনায় দেখা যাচ্ছে, তারা ভবেশকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বা পাঠানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। ভবেশের ছেলের বর্ণনা থেকেই তা পাওয়া যায়। এগেইন, এটাও কোনো ডিটারমাইনিং ফ্যাক্টর নয়। আগে থেকে যেহেতু তাদের কিছুটা বিরোধ ছিল। ফলে তাকে মারধর করে অনাকাঙ্খিতভাবে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য তাড়নাবোধ করে থাকতে পারেন তারা।

তো, এই যখন অবস্থা। কোনোভাবেই ঘটনাটি হত্যা নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু তা নির্ধারণ করা ঘটনার তিন দিন পরও সম্ভব হচ্ছে না। তখন ঘটনার দিনই বাংলাদেশের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এটিকে ‘হত্যাকাণ্ড’ বলে নিশ্চিত শিরোনামে প্রকাশ করা হয়। অন্যদিকে বাকি আরো অনেকগুলো সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটিকে ‘অস্বাভাবিক বা রহস্যজনক মৃত্য’ হিসেবে তুলে ধরা হয়।

যে কয়টি সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটিকে নিশ্চিতভাবে হত্যাকাণ্ড বলে প্রথম দিনই রিপোর্ট করা হয় সেই সংবাদমাধ্যমগুলো (আমি গুগলে কীওয়ার্ড সার্চ করে ২০ এপ্রিল যা পেয়েছি। কেউ রিপোর্ট করে পরে সরিয়ে ফেললে সেগুলো আমার সার্চে আসেনি হয়তো) হলো,

১. ডেইলি স্টার: শিরোনাম "Hindu community leader 'beaten to death after abduction' in Dinajpur"

২. কালবেলা: শিরোনাম "বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা"

৩. আমাদের সময়: শিরোনাম "বিরলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা"

৪. ইনকিলাব: শিরোনাম "বিরলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা"

৫. আজকের রিপোর্ট: শিরোনাম "বিরলে বাড়ি থেকে অপহরণ করে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা"

৬. আজকের পত্রিকা: শিরোনাম "দিনাজপুরে হিন্দু ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে অপহরণ করে পিটিয়ে হত্যা"

৭. মোহনা টিভি: শিরোনাম "দিনাজপুরে স্বামীকে পি'টি'য়ে হ'ত্যা'র বর্ণনা দিলেন স্ত্রী"

এই ৭টি রিপোর্ট করেছেন মাত্র তিনজন ব্যক্তি। সাতটি রিপোর্ট আকারে কিছুটা ছোটবড় হলেও লেখার প্যাটার্ন একই। কিছু ক্ষেত্রে টেক্সটও হুবহু একই।
এর মধ্যে ডেইলি স্টারের দিনাজপুর প্রতিনিধি কংকন কর্মকার একটি রিপোর্ট করেছেন তার পত্রিকায়। যেটি ইতোমধ্যে ডেইলি স্টার সরিয়ে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং জানিয়েছে যে তারা নতুন করে রিপোর্টটি মূল্যায়ন করে বুঝতে পেরেছে যে যথাযথভাবে তথ্যপ্রমাণ ও সূত্রগুলো যাচাই না করেই সেটি প্রকাশ করা হয়েছিল।

২ নং থেকে ৫ নং- মোট ৪টি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো মূলত একই ব্যক্তির করা। তিনি হলেন এই সবকটি সংবাদমাধ্যমের বিরল উপজেলা প্রতিনিধি এবং একইসাথে আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কুদ্দুস বা মোহাম্মদ আব্দুল কুদ্দুস।

আমাদের সময় এবং আজকের রিপোর্ট নামক ওয়েবসাইটে ভবেশ চন্দ্রের মৃত্যুসংক্রান্ত দু’টি প্রতিবেদনে এম এ কুদ্দুসের নাম দেয়াই আছে বাইলাইনে। আর তিনিই যে কালবেলা ও ইনকিলাবের বর্তমান বিরল উপজেলা প্রতিনিধি তা পত্রিকাগুলোর ঢাকা কার্যালয় সূত্রে নিশ্চিত হয়েছি আমি। এই দুই ওয়েবসাইটেও তার বাইলাইনে বিরল উপজেলাসংক্রান্ত একাধিক সাম্প্রতিক প্রতিবেদন রয়েছে।

এম এ কুদ্দুস ২০১৯ সালে বিরল উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সদস্য ছিলেন। একই বছর তিনি উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। সংবাদমাধ্যমে এসবের খবর ও ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ৫ আগস্টের পর তিনি অনেকটা আত্মগোপনে আছেন বলে তার এলাকার একটি সূত্র দাবি করেছে।

৬ ও ৭ নম্বর রিপোর্ট দু’টি (আজকের পত্রিকা ও মোহনা টিভি) করেছেন সুবল চন্দ্র রায়, যিনি এই দুই প্রতিষ্ঠানের বিরল উপজেলা প্রতিনিধি এবং তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। তিনিও ২০২২ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য প্রচারণা চালিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেয়েছিলেন কিনা জানা যায়নি।

আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার উপজেলা সাধারণ সম্পাদক সুবল চন্দ্র রায় পলাতক নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। সুবল তার ফেসবুক প্রোফাইলে নিয়মিত খালিদের জনসংযোগের কাজ করতেন। একাধিক সময়ে খালিদের সাথে তার ছবি দিয়ে রাজনৈতিক পোস্টার বানিয়ে খালিদকে তার 'অভিভাবক' আখ্যা দিয়ে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে ক্যাম্পেইন করতেন।

এই সুবল চন্দ্র আবার একই সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। বিবিসি বাংলা এবং আরো কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের খবরে তাকে এই পরিচয়ে উপস্থাপন করে ভবেশের ঘটনায় ইন্টারভিউ করা হয়েছে। আবার তিনি সাংবাদিক পরিচয়ে দু’টি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন করেছেন যেখানে, 'হত্যাকাণ্ড' বলে প্রমাণ হওয়ার আগেই ঘটনাটিকে হত্যাকাণ্ড বলে 'নিশ্চিত' হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

ডেইলি স্টারের দিনাজপুর প্রতিনিধি কংকন কর্মকারের আওয়ামী রাজনীতির সাথে সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ তার ফেসবুকে পাওয়া যায়নি। তবে দুই আওয়ামী লীগ নেতা এম এ কুদ্দুস এবং সুবল চন্দ্র রায়ের অতিরঞ্জিত রিপোর্টের সাথে তার রিপোর্ট পুরোপুরি মিলে যাওয়ার মাধ্যমে তাদের পারস্পরিক কো-অর্ডিনেশনের বিষয়টি স্পষ্ট।

এর সাথে ভারতের মিডিয়াতে রিপোর্টটি ডেইলি স্টারের বরাতে দ্রুত পিক করা এবং তার পর দ্রুত ভারত সরকারের অত্যন্ত কঠোর ভাষায় দেয়া বিবৃতি-- এই বিষয়গুলো আমলে নিলে এই 'কো-অর্ডিনেশন' আরও 'উচ্চতায়' উঠে বলে প্রতীয়মান হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়