কল্যাণ বড়ুয়া, বাঁশখালী(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভুয়া ডাক্তারের দেওয়া চিকিৎসায় ঝলসে গেছে রোগীর শরীর। ভূয়া চিকিৎসা এবং রোগীর মারাত্নক অসুস্থতার খবর পেয়ে রবিবার রাতে বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম অভিযান পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তারকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয় এবং রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের নির্দেশ করেন।
বাঁশখালীর শেখেরখীল ৬নং ওয়ার্ড এলাকার মৃত শফিকুর রহমানের ছেলে রোগী খলিলুর রহমান , পেশায় একজন রিকশা চালক। অপরদিকে আবদুর রহিমের পুত্র ভূয়া ডাক্তার কামরুল ইসলাম নাপোড়া বাজারে চেম্বার করেন।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ মতে বাঁশখালীর পুইছড়ি এবং শেখেরখীলের সীমান্তবর্তী নাপোড়া বাজারে ভূয়া ডাক্তার কামরুল ইসলাম ফেইস বুকে দেখে ডাক্তারি নিয়ম শিখে তা থেকে শেখেরখীল এলাকার খলিলুর রহমান নামে এক রোগীকে থেরাপি দিলে শরীরের বেশ কিছু ঝঁলছে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। চিকিৎসার নামে তার শরীরের বড় অংশ অনেকটা জ্বালিয়ে ফেলেন।
রবিবার রাত ১১ টার দিকে খবর পাওয়া মাত্রই ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ জামশেদুল আলম। পরিচালনা করেন অভিযান। তিনি রোগীর পাশে দাড়ান এবং ভূয়া ডাক্তার কামরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময় কামরুল ইসলাম তার দোষ স্বীকার করেন। এসময় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জামশেদুল আলম ভূয়া ডাক্তারকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ওই রোগীর যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বহনের নির্দেশ দিয়ে সাজা প্রদান করেন।