শিরোনাম
◈ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে এসি চালানো নিয়ে নতুন নির্দেশনা ◈ গাজী সালাউদ্দিন তানভীরকে দুই অভিযোগ ওঠার পর সাময়িক অব্যাহতি দিল এনসিপি ◈ আবারও স্বর্ণের দামে নতুন ইতিহাস, দেশে ভরিতে কত বাড়লো? ◈ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তায় হটলাইন ◈ কোন পথে সেভেন সিস্টার্স, ভারতের এত ভয় কেন? ◈ প্যাভিলিয়ন থেকে আজহারউদ্দিনের নাম সরানো: 'বিশ্বের কোনো ক্রিকেটারের সঙ্গে যেন এমন না ঘটে ◈ সাকিব আল হাসা‌নের বিরুদ্ধে দুদকের কমিটি গঠন ◈ বাংলা‌দে‌শের ১৯১ রান শোধ ক‌রে ৮২ রা‌নের লিড নি‌লো জিম্বাবু‌য়ে ◈ আমলযোগ্য অপরাধের ঘটনায় অবশ্যই মামলা নিতে হবে: ডিএমপি কমিশনার ◈ ৩৩ বছরে রাষ্ট্রপতি কতজনকে মাফ করেছেন জানতে চান আদালত

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৫:০৪ বিকাল
আপডেট : ২২ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আদমদীঘিতে খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়া মাছ চাষে হিমসিম খাচ্ছে চাষীরা

ফাইল ফটো

এএফএম মমতাজুর রহমান, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : মাছ চাষে ব্যবহৃত পন্য ও খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজার জাত করণের মাছ চাষে হিম শিম খাচ্ছে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার মৎস্য চাষীরা। ইতিমধ্যে বেশ কিছু মৎস চাষী লোকসানের কবলে পড়ে মাছ চাষের হাল ছেড়ে দিয়েছে বলে জানা গেছে। সরকারী এসব মাছ চাষীদের পৃষ্ঠপোশকতা দিয়ে জরুরী ভাবে পদক্ষেপ গ্রহন না করলে আগামীতে দেশে মাছ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশংকা করছেন এ অঞ্চলের মাছ চাষীরা।

জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা একটি মৎস্য চাষ সম্মৃদ্ধ এলাকা। এখানে শত শত সরকারী, বেসরকারী জলাশয় মাছ চাষ করা হয়। নব্বইয়ের দশক থেকে মাছ চাষে এখানে ব্যাপক সফলতা অর্জন করলেও গত কয়েক বছরে বাজার জাতকৃত মাছ চাষে ব্যবহৃত পণ্য ও মাছের খাদ্যের দাম কয়েক গুন হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং সেই তুলনায় মাছের দাম না বাড়ায় মৎস্য চাষীরা মাছ বিক্রি করে লাভবান হতে পারছেন না। এ কারণে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু মৎস চাষী লোকসানের কবলে পড়ে মাছ চাষের হাল ছেড়ে দিয়েছেন।

মাছের খাদ্য ব্যবসায়ী মাসুদ রানা জানায়, বাজার জাত মাছ চাষের জন্য প্রদানকৃত খাদ্য ব্যান্ড, মাত্র ৫ বছর পূর্বে প্রতি বস্তার দাম ছিল ৮/৯ শত টাকা। বর্তমানে সেটা ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ২০ টাকা কেজি চালের খুদ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে। কেজিতে অনুরুপ ভাবে ভুট্টা, ফিসমিল ও ভাস্যমান ফিডের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

মৎস্য চাষী কোরবান আলী জানান, গত ৮/১০ বছরে মাছের খাদ্যের দাম ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই অনুসারে মাছের দাম না বাড়ায় আমাদের প্রতিমূহুর্তে লোকসান গুণতে হচ্ছে। তিনি আরোও জানান, সরকার যদি আমাদের আদমদীঘি এই মৎস্য সেক্টরের দিকে নজর দেয় তাহলে আমাদের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে।

উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ মৎস্য খামার জি.এম এ্যাকোয়া কালচারের মালিক আব্দুল মহিত তালুকদার জানান, মাছের খাদ্যের দাম যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে সেই হারে মাছের দাম বৃদ্ধি না পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা মাচ চাষে লাভবান হতে পারছে না। থাইল্যান্ড থেকে উন্নত জাতের মা মাছ আমদানি করে একই খরচে মাছের উপাদন বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। এছাড়া সরকারি ভাবে মাছ চাষকে এগ্রিকালচার শিল্প হিসেবে গণ্য করে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। নতুবা এই মৎস্য সেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হবে। যা দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়